বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘উনারা নির্বাচন দিব আইজকা গিয়া কালকে, পরশু গিয়া শুক্রবার। তারা মনে করতেছে, ইলেকশন যদি না দেওয়া লাগে। না না ইলেকশন লাগবো, ফজলুর রহমান যদি জীবিত থাকে; তাহলে ইলেকশন কইরা ছাড়বো।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ৩ সিট পাইত না, কিন্তু টেংগের উপরে টেং তুইল্লা বড় বড় কথা কয়।’ 

বুধবার কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জুড়ি ইউনিয়ন বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত পথসভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে থাকবে, আমরা বাঁচিয়ে রাখবো। রাজাকারের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিবো না। আপনারা যদি ভাবেন, রাজাকারের সন্তানরা এই দেশ শাসন করবে, ভুলে যান। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে যাবো, এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ।’

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম রেখা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর (স্বপন), উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামসহ (জুয়েল) উপজেলা বিএনপির নেতারা। 

এর আগে জনসভায় ফজলুর রহমান জামায়াতের উদ্দেশে বলেন, ‘একলা নির্বাচন করলে ৩টা সিট পাবে না, কিন্তু ৩০০ সিটের পাওয়ার দেখাইতেছে। প্রশাসন দখল করে বসছে। দুই পারসেন্ট লোক নাই। পায়ের ওপর পা তুলে কথা বলে। ইউএনও, ডিসি চলে তার কথায়। প্রশাসন চলে তাদের কথায়।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘বাপের বেটা অইলে ইলেকশনে আসো। ইলেকশনে দেখা যাবে, বাংলাদেশের মানুষ কারে দায়িত্ব দেয়। তখন বেটাগিরি করো।’

ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘আপন ভাইয়ের সন্তানের জ্বালায় জান বাঁচে না, আবার সৎভাইয়ের সন্তানেরা আইছে। এরা কারা? যারা ওই মুক্তিযুদ্ধের সময় দালালি করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার-আলবদর ছিল। তৌহিদি জনতা আমার পোস্টারে কেন জুতা মারেন? মারেন, আমার কপালেও মারেন। কারণ, এই দেশ স্বাধীন করে আপনাদের মাফ করছি বলেই তো বেঁচে আছেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ফজল র রহম ন ব এনপ র এই দ শ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে জামায়াতে ইসলামীর পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫

আড়াইহাজারে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ ও পথসভা কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তাৎক্ষনিক একজনের নাম মাহাবুব বলে জানা গেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। 

শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে আড়াইহাজারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদি বাদশার বাড়ি এলাকায় পথসভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, বিকাল ৩ টার দিকে গহরদী এলাকায় গণসংযোগ কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জামায়াতের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। প্রথমে তর্ক বিতর্ক পরে হামলার  ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মোতাহার হোসেন জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহজাহান শিকারী ও ইউসুফ শিকারীর নেতৃত্বে এ হামলা হয়।হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

আড়াইহাজারে নির্বাচনী আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লা জানান, বিনা উস্কানিতে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিচার হতে হবে। 

এ ব্যাপারে জানতে শাহজাহান শিকারীর মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫
  • আড়াইহাজারে জামায়াতে ইসলামীর পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫