মাদারীপুরের কালকিনিতে জমিতে কাজ করার সময় পুঁতে রাখা ‘বোমা বিস্ফোরণে’ মো. মোশারফ হোসেন কাজী (৫৮) নামে এক কৃষক আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাই সরদারেরচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

কালকিনি থানার ওসি কেএম সোহেল রানা বলেন, “বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”

আরো পড়ুন:

শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ

এলাকাবাসী জানান, কৃষক মোশারফ হোসেন আজ দুপুরে জমিতে কাজ করছিলেন। কোদাল নিয়ে জমিতে আঘাত করলে সেখানে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত বিক্ষত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহত কৃষকের ছেলে সোহেল কাজী বলেন, “জমিতে কাজ করার সময় বোমা বিস্ফোরিত হয়ে আমার বাবা গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।

আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ