শুটিং করতে গিয়ে যা যা হয়েছে তাতে মনে হয় সিরিজের নাম ‘ফ্যাঁকড়া’ খুবই যথাযথ। সাত পর্বের ওয়েব সিরিজটির শুটিং হয় গত বছরের আগস্টে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তখন অস্থির। কারফিউ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি, সরকারের পতন—এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা–মানিকগঞ্জ আর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৩ দিন শুটিং করতে গিয়ে যা হয়েছে, চাইলে সেটা নিয়েই একটা তথ্যচিত্র বানিয়ে ফেলা যায়।

‘একবার তো গ্রামের মানুষজন লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে সাত-আটটা গাড়ি, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী মিলিয়ে বিশাল বহর; গ্রামবাসী ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তখন যা অবস্থা ছিল তাতে তাদের দোষ দেওয়া যায় না।’ গত সোমবার মুঠোফোনে বলছিলেন সিরিজের নির্মাতা আসিফ চৌধুরী।

‘ফ্যাঁকড়া’র দৃশ্য। নির্মাতার সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১১ মাসে বিদেশি ঋণ শোধে ব্যয় ৩৭৮ কোটি ডলার

বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল বাবদ অর্থ পরিশোধ ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এযাবৎকালের মধ্যে সরকারকে বিদেশি ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, চলতি অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণ শোধের পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পক্ষ থেকে আজ রোববার প্রকাশিত বিদেশি ঋণ পরিশোধ–সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ সরকার পরিশোধ করেছে ৩৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের পুরোটা সময়ে বিদেশি ঋণের আসল ও সুদ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ডলার।

ইআরডির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ সরকার পরিশোধ করেছিল প্রায় ৩০৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ অর্থ পরিশোধের পরিমাণ ২৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত জুলাই থেকে মে পর্যন্ত সরকার এ বাবদ যে অর্থ ব্যয় করেছে, তার মধ্যে ঋণের আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ২৩৮ কোটি ডলার। ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১৪০ কোটি ডলার।

ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, বিগত সময়ে নেওয়া বড় বড় মেগা প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে হওয়ায় বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। একই সঙ্গে বাজারভিত্তিক উচ্চ সুদহারের বিভিন্ন ঋণ গ্রহণও এতে প্রভাব ফেলেছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই অর্থনীতিবিদেরাও বিদেশি ঋণ গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন।

এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ বাড়লেও কমেছে বিদেশি ঋণছাড় ও ঋণের প্রতিশ্রুতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বিদেশি ঋণছাড় হয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭০২ কোটি ডলার। একই সময়ে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ৫৪৮ কোটি ডলারের। যদিও গত অর্থবছেরর একই সময়ে ঋণ প্রতিশ্রুতি এসেছিল ৭৯২ কোটি ডলারের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ