পিএসজির উৎসবে দুর্ঘটনা—৩ জন হাসপাতালে, গ্রেপ্তার ৪৩
Published: 8th, May 2025 GMT
পাঁচ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। ফরাসি ক্লাবটির সমর্থকেরা সেই আনন্দে রাতভর প্যারিসে উৎসব করেছেন।
কিন্তু নগরীর বিখ্যাত শাঁজ-এলিজেই অ্যাভিনিউয়ে উৎসব করতে গিয়েই ঘটেছে দুর্ঘটনা। বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, রাস্তায় পার্টি করার সময় গাড়ির ধাক্কায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪৩ জনকে আটক করেছে প্যারিসের পুলিশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাধভক্ষণে এসে লন্ডনে ফেরা হলো না বৈভব-জিনালের
কোলজুড়ে প্রথম সন্তান আসবে তাই আনন্দে আটখানা ছিলেন বৈভব পেটেল ও জিনাল গৌস্বামী দম্পতি। তাদের পরিবারেও চলছিল উৎসবের আমেজ। তাই পারিবারিক রীতি মানতে সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভারতে আসেন তারা। পারিবারিক রীতি-নীতি আর উৎসবের মধ্য দিয়ে ২ জুন সাধের অনুষ্ঠান হয়। পরে ১২ জুন লন্ডনে ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু আহমেদাবাদের সেই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারা। মুহূর্তেই পুরো পরিবারের আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে।
১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে করেই লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বৈভব-জিনালের। কিন্তু ওই বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন যাত্রীর সঙ্গে প্রাণ হারান তারাও। বৈভব-জিনাল দম্পতির বাড়ি ঢোলকা তেহশিলের কেলিয়া ভাসনা গ্রামে। খবর এনডিটিভির
বৈভব-জিনালের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, বৈভব পরিবারের বড় ছেলে। তার বাবা নেই, তাই তার কাঁধে পুরো পরিবারের দায়িত্ব ছিল। প্রথম সন্তানের আগমন উপলক্ষে খুব উচ্ছ্বসিত ছিল তার পুরো পরিবার। ১২ জুন বিমানে ওঠার আগেও আমাকে ফোন করেছিল বৈভব। তার এ মৃত্যু আমি মানতে পারছি না। বৈভবের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমরা একসঙ্গে অনেক ট্যুর দিয়েছি। বৈভবের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেল।
জিনালের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিমানে একটি কৃষ্ণমূর্তি নিয়ে উঠেছিল জিনাল। বিমান ভেঙে পড়ার স্থান থেকে কেবল ওই মূর্তিটিই উদ্ধার হয়েছে। জিনাল-বৈভবের মরদেহ তারা পাননি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আহমেদাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। বেলা ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে বিমানটি উড্ডয়নের পর তা ওপরের দিকে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং দ্রুত নিচে নেমে আসে। এরপরই এটি বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ আগুনে পরিণত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গুজরাটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে ছিলেন।’