আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন, বিচারপতি নজরুলকে চেয়ারম্যান নিয়োগ
Published: 8th, May 2025 GMT
হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাপ্ত অভিযোগ ও অভিযুক্তের সংখ্যা, দ্রুত বিচার-নিষ্পত্তির প্রয়োজন, কাজের চাপ ইত্যাদি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
ট্রাইব্যুনালের সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো.
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
এছাড়া প্রজ্ঞাপনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন
হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার। তিন সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আজ বৃহস্পতিবার আইন ও বিচার বিভাগ থেকে তাদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাপ্ত অভিযোগ ও অভিযুক্তের সংখ্যা, দ্রুত বিচার-নিষ্পত্তির প্রয়োজন, কাজের চাপ ইত্যাদি বিবেচনায় দ্বিতীয় এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলো।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থনের সময় হত্যা, গণহত্যা, গুমসহ মানবতাবিরোধী নানা ধরনের অপরাধের বিচার কার্যক্রম দ্রুত করতে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলো।
এর আগে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধীতাকারীদের বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এরপর বিচারের গতি দ্রুত বাড়াতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তিন বছর পর মামলার চাপ কমে যাওয়ায় ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুই ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আজ আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।
এছাড়া প্রজ্ঞাপনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ১ নম্বর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য সরকার দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।