মেয়াদোত্তীর্ণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয় উল্লেখ করে শরীয়তপুর জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া।
জেলা যুবদল সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে আরিফুর রহমান মোল্লাকে সভাপতি ও জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট শরীয়তপুর জেলা যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা কর্মকাণ্ডের কারণে শরীয়তপুর জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, “পুরাতন কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করার জন্য বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছি। মূলত শরীয়তপুর জেলা যুবদলকে ঢেলে সাজাতে এবং শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতি দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে আমরা মনে করছি।”
কমিটি বিলুপ্ত ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লা বলেন, “কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেকে আগেই। কমিটি আরো আগেই ভেঙে দেওয়া উচিৎ ছিল। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টিকোণে কি ধরা পড়েছে সেটা কেন্দ্রীয় কমিটিই ভালো বলতে পারবে।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল র ক ন কম ট কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’