সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা এবং তার স্বামী মো. এমরানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে সোমবার গভীর রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

জিনাত সোহানা চৌধুরী সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও বিজিএমইএর সদস্য ছিলেন। এছাড়া ফারমিন গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। সোহানার স্বামী মোহাম্মদ এমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, গত ২০ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি জিনাত সোহানা চৌধুরী ও তার স্বামী মো.

এমরান। তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

জেটিতে আধিপত্য নিয়ে হামলা-আগুন আহত ৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহীন মৃধা ও আহত মিরাজ হাওলাদার এ ঘটনার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনের লোকজনকে দায়ী করেছেন। আহত অন্য দু’জন হলেন দোলন মৃধা ও রানা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মৃধা এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মহসিনের পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার ৫০-৬০ জন শাহীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালান।
এক পর্যায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শাহীন মৃধার দাবি, তাঁর পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, তিন দিন আগে এখানে মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এ কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ইন্ধনে মহসিন ও কাজলের নেতৃত্বে অফিস পোড়ানো হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আমিনুল ইসলাম মহসিন বলেন, ‘আমি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছি। এতে শাহীন মৃধা ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদা দাবি করেন। শ্রমিকদের কাজে বাধা দেন। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জানি না। তার পরও আমাকে দোষারূপ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, শাহীন মৃধা ও মহসিন মামা-ভাগনে। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা সবাই চিহ্নিত। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ