টানা বৃষ্টিতে সেন্টমার্টিনে জলাবদ্ধতা, ঘরবন্দি কয়েকশ পরিবার
Published: 3rd, October 2025 GMT
টানা বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুই শতাধিক বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের একটি স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে।
দ্বীপের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে বাড়ির উঠান ও রাস্তাঘাট হাঁটুপরিমাণ পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানির সঙ্গে ঢেউ বাড়তে থাকায় বাড়ি ও আশ্রয়স্থল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
ভবদহ জলাবদ্ধতা: ৫ নদী খননের কাজ পেল সেনাবাহিনী
জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএসসিসি
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, “পাঁচটি গ্রামের কয়েকশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের ঢেউয়ে ঘাটে বাঁধা একটি মাছ ধরার ট্রলারও ডুবে গেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা রাইসুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম দীর্ঘদিনের পুরনো ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র পানি চলাচলের পথ স্লুইস গেটটি বন্ধ করে রেখেছেন। এ কারণেই বৃষ্টির পানি আটকে গিয়ে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম বলেন, “আমি স্লুইস গেট বন্ধ করিনি। পাশের বাড়ির খলিল সীমানা নির্ধারণের জন্য গেটটি বন্ধ করেছেন। আমরা মিলে সেটি খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি।”
মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম জানান, সকাল থেকে পানির মধ্যে আটকা পড়ে আছেন তারা। রান্না করার সুযোগ না থাকায় পরিবারের কেউ খাবারও খেতে পারেননি।
ইউপি সদস্য আল নোমান জানান, অন্তত দেড়শ ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে আছে। স্লুইস গেট মেরামতের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “স্লুইস গেট খুলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি থামলেই পানি নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সতর্কভাবে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের সমন্বিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জবি) নির্বাচনে ছাত্রদল ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ যৌথভাবে ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামে সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এ প্যানেল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ২ দিনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ
জকসু: ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হলেন সেই খাদিজা, লড়তে পারেন জিএস পদে
ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক পদে শাখা ছাত্রদলে যুগ্ম আহ্বায়ক সদ্য পদ পাওয়া খাদিজাতুল কুবরা এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য বিএম আতিকুর রমান তানজিল মনোনীত হয়েছে।
প্যানেলে অন্যান্যদের মাঝে রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে লড়বেন অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক পদে অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক পদে মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আনন বিন রহমান, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে লড়বেন রিয়াসাল রাকিব।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন- ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরেকজন নির্বাহী সদস্যের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী