ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে দুই ব্যাটার ওমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে দারুণ দুটি ডেলিভারিতে বোল্ড করেন বাংলাদেশ পেসার মারুফা আক্তার।

পাকিস্তানের ইনিংসে প্রথম ওভারে পরপর দুটি দুর্দান্ত ডেলিভারি আলোচনায় নিয়ে এসেছে মারুফাকে। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গাও ফেসবুকে মারুফার বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন।

পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ভেতরে ঢোকানো ইনসুইং ডেলিভারিতে ওমাইমাকে বোল্ড করে দেন মারুফা। মারুফার পরের বলটিও ছিল আরেকটি চমৎকার ইনসুইং ডেলিভারি।

ছন্দে থাকা ব্যাটার সিদরা আমিন ব্যাটে খেলতে গিয়েও সুইংয়ের কারণে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প ভেঙে দেয়। মারুফার দুটি ডেলিভারিই অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকেছে। নতুন বলে মারুফর এমন নিয়ন্ত্রণ দেখে সবাই মুগ্ধ।

আইসিসি মারুফার এ দুটি ডেলিভারি নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। মালিঙ্গার ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লেখা হয়, ‘নিখাদ দক্ষতা। দারুণ নিয়ন্ত্রণ। এখন পর্যন্ত এই আসরের সেরা ডেলিভারি।’ মালিঙ্গার এই পোস্টে মন্তব্যের ঘরে জবাবও দিয়েছেন মারুফা। তিনি লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ কিংবদন্তি।’

আইসিসির পোস্ট করা সেই ভিডিওতে মারুফাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজ। নারী বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেওয়া এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘প্রথমত ও অনেক সুইং পেয়েছে এবং সঠিক লেংথে বোলিংও করেছে। সুইং পাওয়া ভালো, তবে ঠিক লাইন লেংথে বোলিং না করলে পুরস্কার পাওয়া যায় না। তবে মারুফা প্রাপ্য ফল পেয়েছে। পর পর দুই বলে বড় দুটি উইকেট, ওর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও ছিল।’

মিতালি যোগ করেন, ‘এটা ওর প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ওর বোলিং দেখেছি। আমি তখনো ওর বোলিং দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ওর গতি, যেভাবে বল ডেলিভার করে, রানআপ সবকিছুতে।’

যেভাবে সিদরাকে বোল্ড করেছেন মারুফা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা

যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী

তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। 

তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর। 

সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর। 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে। 

ঢাকা/রিটন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ