সোনারগাঁয়ে ধর্ষন মামলার বাদির পরিবারের ওপর হামলা, শিশু ও নারীসহ আহত ৩
Published: 2nd, October 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলার বাদির পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মামলা তুলে নিতে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে এ হামলা করা হয়।
হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে ২০২৪ সালের ২৫ জুন রাতে দোকানে যাওয়ার পথে এক শিশুকে মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী একটি সিএনজি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার মাসুম মিয়ার ছেলে মারুফ হোসেন।
এ ঘটনায় ২৮ জুন ভূক্তভোগীর খালা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মারুফ হোসেন পলাতক থাকে। বর্তমানে সে প্রকাশ্যে আসে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মারুফের পরিবার ওই ভূক্তভোগী শিশুর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে।
গত বুধবার বিকেলে বাদির ভাতিজি রহিমা আক্তার পাশ্ববর্তী দোকানে সদাই কিনতে গেলে ধর্ষক মারুফের বাবা মাসুম মিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মামলা তুলে নিতে পুনরায় হুমকি দেয়।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাসুম মিয়ার নেতৃত্বে মো.
এসময় বাদির বোন গ্রাম পুলিশ সদস্য শাহনাজ বেগম, ভাগিনা বাবু মিয়া ও ১১ বছর বয়সী হোসাইন মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মোসাৎ তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
ধর্ষণ মামলার বাদি মোসাৎ তানিয়া আক্তার জানান, ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তের পরিবার হুমকি দিয়ে আসছে। ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত মাসুম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় তার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে ওই পরিবার। এ বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার কথা বলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়। তবে হামলা করা হয়নি বলে দাবি করেন।
সানারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ র পর ব র স ন রগ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।