রাস্তা পার হতে কেবল রেললাইনে উঠেছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা নেমে ধাক্কা দিয়ে এটিকে লাইন থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটির যাত্রী মা ও নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধাক্কা দেওয়া ট্রেনটির নাম মহানগর এক্সপ্রেস। ধাক্কায় অটোরিকশাটি অন্তত ৪০ গজ দূরে রেললাইনের পাশে খাদে পড়ে যায়।

নিহত দুজন হলেন মৌলভীপাড়া এলাকার বাসিন্দা বদিউল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪৫) ও তাঁর মেয়ে সানজিদা সুলতানা (২৫)। এ ঘটনায় সানজিদা সুলতানার এক বছরের শিশুও আহত হয়েছে।

নিহতের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো.

আলাউদ্দিন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুপ্তাখালী এলাকায় সানজিদা সুলতানার নানাশ্বশুর মারা যান। তাঁর মরদেহ দেখতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় একই পরিবারের চারজন সেখানে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেন আসার আগেই রেললাইনে অটোরিকশাটি আটকে ছিল। পরে নিহত মাহমুদা বেগমের স্বামী ও ছেলে অটোরিকশা থেকে নেমে ধাক্কা দিয়ে এটিকে সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে মুহূর্তেই ট্রেন চলে আসায় এতে ধাক্কা লাগে। এ সময় মাহমুদা বেগম ও সানজিদা সুলতানা গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনার পরই গুরুতর আহত মাহমুদা, সানজিদাকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আশরাফ ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা অটোরিকশাটি উদ্ধার করেছেন। ঘটনার পর অটোরিকশাচালক পালিয়েছেন। তাঁরা অটোরিকশাচালক ও মালিককে খুঁজছেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাড্ডায় মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসি প্রত্যাহার ও ৭ পুলিশ বরখাস্ত

রাজধানীর বাড্ডায় একটি মন্দিরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ৩০টি গুলি চুরির ঘটনায় বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও পাঁচজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডিএমপির গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডার নিমতলীর শ্রীশ্রী মহাদেব আশ্রম ও কালীমন্দিরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের জন্য মন্দিরের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে থাকা একটি নির্মাণাধীন ভবনের দোতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য ও তিনজন আনসার সদস্যের পাশ থেকে তাঁদের ব্যবহৃত চারটি ব্যাগ, দুটি মানিব্যাগ ও তিনটি মুঠোফোন চুরি হয়। এর মধ্যে একটি ব্যাগে শটগানের ৩০টি গুলি ছিল। পরে সকাল পৌনে ১০টায় পুলিশ মণ্ডপের পাশের একটি জায়গা থেকে চুরি হওয়া গুলিগুলো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে একজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারী উপপরিদর্শক এবং পাঁচজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ওসি প্রত্যাহারের অফিস আদেশ এখনো পাইনি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাড্ডা থানার নতুন ওসি হাবিবুর রহমান
  • বাড্ডায় মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসি প্রত্যাহার ও ৭ পুলিশ বরখাস্ত