চিত্রকলার দুনিয়ায় সালভাদর দালিকে পাবলো পিকাসো ও অঁরি মাতিসের সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তবে স্পেনে জন্মগ্রহণকারী এই শিল্পী অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন, বিশেষ করে চিন্তাভাবনা ও আঁকাআঁকির ক্ষেত্রে। সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মনঃসমীক্ষণ ও পরাবাস্তববাদী প্রভাবের কারণে নিজের চিন্তার জগতের মতো দালির শিল্পের জগৎও স্বতন্ত্র ছিল। কৈশোরে দালির মা মারা যান, তাই বাপের কাছে মানুষ হয়েছিলেন অভিমানে, অনুরাগে ও বিরাগে। পেশায় নোটারি আর ধর্মে অবিশ্বাসী বাপের প্রভাব তাঁর মনন গঠনে বড় ভূমিকা রাখে। যদিও ‘পৈতৃক কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করে আর জয়ী হয়, সে-ই প্রকৃত বীর’—ফ্রয়েডের এ কথা কখনো ভুলতেন না দালি। কৈশোরেই জ্ঞানের প্রতি সতৃষ্ণ দালি বাবার লাইব্রেরিতে নন্দনতত্ত্বের বই বেশি নাড়াচাড়া করতেন আর তাতে লক্ষ করতেন ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতার নানা প্রমাণ। স্কুলের সেই প্রথম বছরে শিক্ষক দন ত্রায়েতের দালিকে বলেছিলেন, ‘ধর্ম হচ্ছে একটা মেয়েলি ব্যাপার।’ বিষয়টা তাঁকে ভাবাত তখন থেকে। এই সূত্রে দালি পরীক্ষা করেছেন ভলতেয়ারের অভিধানগ্রন্থও। আর ফ্রেডরিখ নিৎসে পড়তে গিয়ে কিশোর-মনে পেলেন ভীষণ চোট: ‘ঈশ্বর মৃত’—এমন ঘোষণায়। জরাথুস্ট্রের মাধ্যমে নিৎসে দালিকে আরও নাস্তিকতার দিকে ঠেলে দিলেন। আর সে কারণে বাপে-বেটায় বিচ্ছেদও ঘটে; ঘরছাড়া হন একসময়। নিৎসের ব্যক্তিত্ব, খ্রিষ্টধর্মের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি দালিকে করে তুলেছিল নিৎসে-সুলভ নির্বিকার, জীবনবিমুখ ও উদাসীন; এমনকি বাহ্যিক চেহারা অনুকরণেও। তখন থেকে জুলফি বাড়তে দিয়েছেন ঠোঁটের কোনা পর্যন্ত। এ সময়টাকে দালি নিজের ‘আধ্যাত্মিক বিপর্যয়ে’র কাল বলে স্বীকার করেছেন। মাত্র সাত বছর বয়সে যে দালি হতে চেয়েছিলেন নেপোলিয়ন, তারুণ্যে এসে স্থিত হন চিত্রকলায়; প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে থাকলেন একে একে। এরই মধ্যে ফ্রয়েডের প্রভাবে যৌনতার চিত্রকল্প আর প্যারিসের পরাবাস্তববাদীদের দলে যোগ দিয়ে শিল্পের আঙ্গিকে আনলেন নানা নতুনত্ব। বদলে যায় দালির দুনিয়া আর আলোচনায় আসেন ইউরোপ-আমেরিকাজুড়ে।
পরাবাস্তববাদী আন্দোলনে যোগ দিয়ে দালি বুঝেছিলেন, কোনো ধরনের যৌক্তিক নান্দনিক বা নৈতিক বাধা ছাড়াই চিন্তাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু ছবি আঁকতে গিয়ে দেখতে পেলেন অন্য সব পরাবাস্তববাদী আদপে বুর্জোয়া–চরিত্রের লোক। বাস্তব আর যুক্তির জগতের অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এঁরাও অক্ষম। সুতরাং দালির সিদ্ধান্ত, আর যা-ই হোক, এটি শিল্প ও সাহিত্যের দল হতে পারে না। পরাবাস্তববাদের প্রবক্তা আঁদ্রে ব্রেতোঁকে চিন্তার ক্ষেত্রে নতুন পিতা ভাবলেও তিনিও দালির পরাবাস্তববাদী ছবি মেনে নিতে পারেননি। কারণ, দালি ছবিতে মল ও পায়ুর চিত্র সংযোজন করেছেন। মনোবিশ্লেষণ আর পরাবাস্তববাদী দিক থেকে ছবিতে বর্জ্যের উপাদান গুরুত্বপূর্ণ হলেও, আন্দোলনে এটা পরিত্যাজ্য বিবেচিত হয়। অথচ কী নিদারুণ ঘটনা দেখলেন দালি—যৌনাঙ্গ আঁকা যাবে, পায়ু আঁকা যাবে না—যদিও স্ত্রী-পায়ু সিদ্ধ তাঁদের কাছে! দালি পরাবাস্তববাদীদের দ্বারা পরিত্যক্ত হলেন, নিজেও সরে এলেন এঁদের থেকে। কিন্তু এর আগে-পরে নিজের অভিজ্ঞতাকে চরম ও স্ববিরোধী পরিণতির দিকে নিয়ে যান দালি, বাস্তবে যা পরাবাস্তববাদী ধারণার বিপরীত। যেমন ব্রেতোঁ যেখানে ধর্ম সম্পর্কে অনীহা প্রকাশ করতেন, দালি সেখানে নতুন ধর্মচিন্তায় ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। দালির ধর্মচিন্তা নিষ্ঠুরতা, ধর্ষকাম ও মানসিক বিকলনপূর্ণ ছিল। ধর্মের এই ধারণাগুলো দালি পেয়েছিলেন আগস্ট কোঁৎ পড়ে। দালির ভাবনার মূলে হচ্ছে পরাবাস্তব জগৎ যদি সত্য হয়, তাহলে সেখানে অতীন্দ্রিয় ও ধর্মের বিষয় অনুপস্থিত থাকতে পারে না।
মাত্র সাত বছর বয়সে যে দালি হতে চেয়েছিলেন নেপোলিয়ন, তারুণ্যে এসে স্থিত হন চিত্রকলায়; প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে থাকলেন একে একে। এরই মধ্যে ফ্রয়েডের প্রভাবে যৌনতার চিত্রকল্প আর প্যারিসের পরাবাস্তববাদীদের দলে যোগ দিয়ে শিল্পের আঙ্গিকে আনলেন নানা নতুনত্ব। বদলে যায় দালির দুনিয়া আর আলোচনায় আসেন ইউরোপ-আমেরিকাজুড়ে।বিশ্বসৃষ্টির দালিনীয় তত্ত্ব নির্মাণে ব্যস্ত দালির ছবিগুলো তখন পাগলাটে কর্মকাণ্ডে ভরপুর ছিল। ছবিতে বৈপরীত্যের প্রকাশকে তিনি জন্মগত বৈপরীত্য-চেতনা বলে মনে করতেন। ক্যানভাসে পীতাভ রঙে চামড়ার স্ট্র্যাপে আটকানো শরীরের মাংস এঁকে হিটলারের ছবি আঁকলেন দালি। অর্থাৎ হিটলারের নিগূঢ় ব্যক্তিত্ব প্রকাশের জন্য পরাবাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে মর্ষকামী উপাদানের সঙ্গে ধর্মীয় উপাদান যুক্ত করেন তিনি। এমনরূপ ভাবনাকে দালি নিজে প্যারোনোইয়া-জনিত এবং অরাজনৈতিক বলে স্বীকার করেছেন। যদিও ব্রেতোঁসহ সবাই দালিকে হিটলার-অনুরাগী বলে ভুল বুঝেছিলেন। ব্রেতোঁর সঙ্গে দালির যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায় একসময়; এ ঘটনাকে একটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখেন দালি। কারণ, তাঁর মতে এর মাধ্যমে পরাবাস্তববাদের মৃত্যু হয় এবং নিজেই পরাবাস্তববাদ হয়ে ওঠেন। দালির দাবি পরাবাস্তববাদকে তিনি বস্তুতান্ত্রিকতামুক্ত করে আধ্যাত্মিকতাযুক্ত করেছেন; মহিমান্বিত করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি আবিষ্কার করেন নিউক্লিয়ার অতীন্দ্রিয়বাদ, যা দ্বারা সৌন্দর্য ও মহত্ত্বের মেলবন্ধন করতে পারেন।
ফরাসি কবি লতেঁ দালিকে একবার একটি গন্ডারের শিং উপহার দেন, যা দালি ভালোবাসতেন। এটা পেয়ে দালির মনে হয়েছিল, এই শিং তাঁর জীবন বাঁচিয়ে রাখবে। দালি পরে খ্রিষ্টের ছবি আঁকতে গিয়ে দেখেন, ভূতগ্রস্তের মতো সারা শরীরজুড়ে একটা গন্ডারের শিংই এঁকেছেন। আশ্চর্য ব্যাপার যে পরে গোটা ছবিটি দালির মতে আধ্যাত্মিক ও নিখুঁত হয়ে ওঠে। এ জন্য দালি ফ্রয়েডকে ধন্যবাদ দিতে চান। কারণ, সত্যকে দেখার ক্ষমতা তিনিই তাঁকে দিয়েছেন। আর এ–ও ভাবেন, সারা জীবন ধরে তিনি একটা গন্ডারের শিংই এঁকেছেন। গন্ডারের শিঙের বাঁককে দালি মনে করতেন ঐশ্বরিক কিছু, যা সমস্ত শুদ্ধতা ও উগ্র নন্দনতত্ত্বের প্রধান ভিত্তি। সুতরাং গন্ডারের শিং দালির কাছে মরমি বা অতীন্দ্রিয় উপাদান।
এমনকি কখনো-সখনো নিজের মলকে গন্ডারের শিঙের আকারে দেখতেন এবং তা নিয়ে বেশ ভাবিত থাকতেন। মল দালির কাছে ভাবনার মতো বিষয় ছিল এবং এটা তাঁকে সব সময় দার্শনিক করে তুলত। পারাসেলসাসের মতো তিনিও মনে করতেন, মল মানুষের জীবনের সূত্র এবং আয়ুর সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক আছে। মধুর মতো তরল হলে মলের পক্ষে আয়ু বাড়ানো সম্ভব হতো আর জাগতিক অমরত্ব যদি খুঁজতে হয় তাহলে মল বা বর্জ্যের মধ্যেই খুঁজতে হবে। অন্যদিকে মলত্যাগের সঙ্গে দার্শনিকতা ও অধিবিদ্যাগত যে বিষয় জড়িত, উচ্চস্তরের মানুষও এ ব্যাপারে অনুভূতিহীন দেখে দালি বিস্মিত হতেন।
দ্য ডিসিনট্রেগেশন অব দ্য পারসিস্টেন্স অব মেমোরি (১৯৫৪), সালভাদর দালি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ত রকল উপ দ ন পর ত য কর ছ ন প রক শ করত ন
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত ‘আমা দাবলাম’ জয় করছেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। গত ৪ নভেম্বর নেপাল সময় দুপর ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার এই পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
পর্বতারোহণ বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসাবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আরো পড়ুন:
রঙ হারাচ্ছে অদম্য মেধাবীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন
উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ
আমা দাবলাম খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।
চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, “আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সব তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।”
তিনি বলেন, “আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সব প্রাণী শক্তিশালী। আসুন, ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরো বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।”
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছাড়েন তৌকির। এরপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় তার মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তৌকির শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা এক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষার পাত। এই তুষার পাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১ এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফিট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরো খারাপ হলে তাদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাবার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম পর্বত
তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচদিন। তরপর সুখবর আসে রুট ওপেন হবার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এইদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌছান তিনি।
তৌকির বিশ্বাস করেন, “স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।”
তরুণ এই পর্বতারোহী এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৌকির ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারো উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক ও ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
তারও আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৌকির খুম্বু রিজিওনের ৫০৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন এবং ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন।
তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল-ই তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন
ঢাকা/মাসুদ