পাকিস্তানি শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অভিনেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
Published: 3rd, October 2025 GMT
পাকিস্তানি শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দেশটির জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেমুনা কুদ্দুস। তার ভাষ্য—“পাকিস্তানের অন্যান্য শহরের তুলনায় লাহোরে সমকামিতার প্রবণতা বেশি, বিশেষ করে বিনোদন জগতে।” কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অভিনেত্রী মেমুনা বলেন, “করাচিতেও সমকামিতা রয়েছে, তবে লাহোরে এটি অনেক বেশি প্রকাশ্যে ঘটে থাকে। সেখানে খোলামেলা পার্টি হয় এবং এসব কার্যকলাপ প্রকাশ্যে ঘটে। এমন ব্যক্তিগত বিষয়গুলো গোপনে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত, প্রকাশ্যে আলোচনা বা প্রদর্শনের বিষয় এটি নয়।”
আরো পড়ুন:
ইসলামাবাদে নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত বাংলাদেশ হাইকমিশন
এশিয়া কাপ ২০২৫: কে জিতল কোন পুরস্কার?
লাহোরের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি অধিক ‘নোংরা’ বলে মন্তব্য করেন মেমুনা। তার ভাষায়, “লাহোরের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ‘ময়লা’ রয়েছে। সেখানকার মানুষ নৈতিক বিচারে অনেক বেশি দুর্বল। লাহোরে অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা প্রকৃতপক্ষে ধনী না, তারপরও তারা নিজেদের লাখপতি বা কোটিপতি হিসেবে উপস্থান করেন এবং অন্যদের তুলনায় নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে।”
করাচিকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে পেশাদার শহর হিসেবে উল্লেখ করেন মেমুনা। এ অভিনেত্রী বলেন, “করাচির মানুষ অত্যন্ত পেশাদার। এমনকি ব্যক্তিগত সম্পর্কেও তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক মনোভাব দেখা যায়।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে মেমুনা বলেন, “করাচিতে সম্পর্কগুলো অনেক সময় চুক্তির মতো হয়। যেখানে প্রত্যাশাগুলো স্পষ্ট থাকে—যেমন: সেখানে বিনিময়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয় হয়। মেয়েটি যদি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে, তাহলে ব্যাপারটা সেখানেই শেষ।”
মেমুনার এসব বক্তব্য নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। নেটিজেনদের অনেকে তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি একই পডকাস্টে শিয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন মেমুনা। বিতর্কের মুখে ক্ষমাও চেয়েছেন মেমুনা ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে জন্মগ্রহণ করেন মেমুনা কুদ্দুস। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনা, ভিডিও এডিটিং বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। করাচিতে পাড়ি জমানোর আগে পাকিস্তান টেলিভিশনে ইন্টার্ন করেন তিনি। ২০১৬ সালে মডেলিং শুরু করেন। একই বছর একাধিক পরিচালক তাকে বিভিন্ন নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।
২০১৭ সালে অভিনেতা আইজাজ আসলাম তার ‘চাইয়ে থোড়া প্যায়ার’ নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাব গ্রহণ করেন মেমুনা। নাটকটিতে ‘সাবা’ চরিত্র রূপায়ন করেন। এরপর অভিনেত্রী জাভেরিয়া সৌদ তাকে ‘মোহাব্বত জিন্দেগি’ ধারাবাহিকে কাস্ট করেন। এ নাটকেও ‘সাবা’ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। নাটকটি প্রচারের পর ইতিবাচক সাড়া ফেলেন ৩০ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী।
এরপর অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন মেমুনা। তার উল্লেখযোগ্য কাজ হলো: উম্মে-হানিয়া, কিউঁকে ইশক বরায়ে ফরোখত নাহি, জি টি রোড, সিয়ানি প্রভৃতি। ২০২০ সালে তুর্কি ভাষার ‘খুদা গওয়াহ’ নাটকে কাজ করেন। চরিত্রটির জন্য তুর্কি ভাষাও শেখেন এই অভিনেত্রী। অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। তাছাড়া বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন মেমুনা।
তথ্যসূত্র: ডেইলি পাকিস্তান
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ব জ ইন ড স ট র কর ন ম ম ন প রস ত ব কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।