আকাশ আর পাতাল বোঝানোর জন্য কোনো সীমানা নেই। নিরালম্ব, বায়ুভূত শূন্যে সচল এই সব ইমেজ যেন কোনো জাদুকরি চালে চলমান কিংবা অদৃশ্য শক্তির মায়াজালে বন্দী। শিশির ভট্টাচার্য্যের সৃজন-চৈতন্য এইভাবে ত্রিশঙ্কু অবস্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করে মানুষ, প্রকৃতি এবং সর্বোপরি সময়ের নেতির লীলা। কোন বোধ বা রসের বিচারে শিশিরের ছবির বিশ্লেষণ যথার্থ হবে, তা নিশ্চিত হিসেবে বলা সম্ভব নয়, তবে এ কথা দর্শকমাত্রই অনুধাবন করবেন যে শিল্পীর নয়ন-সুখকর ললিত সচল কালো রেখার ইমেজের অন্তরালে রয়েছে এই নেতিবাচক সময়ের সার্কাসি বয়ান। কোথাও পরিপ্রেক্ষিতের ইশারা নেই, নেই আগে-পিছের, ওপরে-নিচের হিসাব। বায়ুভূত কিংবা জলজ হাইড্রার মতো ভাসমান এই সব ইমেজ স্বয়ং চালে স্পেসে আবির্ভূত হয়ে ভয়াল সুন্দর প্রেতায়িত আবেশ তৈরি করে। প্রথমত, আমরা কী সুন্দর বলে বিমোহিত হই। বিমুগ্ধ নয়নে দেখি মানুষের মুখ, নারীর সুনয়ন ও কল্লোলিত চুল, সুডৌল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, দেখি নিসর্গের ডালপালা ও পত্রালির বিচিত্র বিকাশ। কিন্তু কোনো ইমেজই স্থির, সার্বভৌম ও স্বাধীন নয়, একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িয়ে আছে। মানুষ, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, পল্লবিত নিসর্গের ডালপালা এবং মানুষের ব্যবহৃত তৈজসপত্র, হাতিয়ার ও মারণাস্ত্র নিখুঁত ড্রয়িংয়ের মাহাত্ম্যে পরস্পরিত হয়ে অভূতপূর্ব জৈবিক গড়নে উত্তীর্ণ হয়েছে।
শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্যের রেখাচিত্র.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের পর এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। যদিও তা এখন পর্যন্ত গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে আছে।
আজ শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে।
যদিও সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুড ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ৭ শতাংশ কমেছে। কারণ, সরবরাহ অতিরিক্ত থাকার পরও ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।
সূত্র জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নভেম্বরে তেল উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে, যা অক্টোবরের বৃদ্ধির তিন গুণ। সৌদি আরব বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ।
বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, যদি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, তাহলে সেটি আবার তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এমনকি বছরের সর্বনিম্ন দাম প্রায় ৫৫ ডলারও হতে পারে।
এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের কার্যক্রম ধীরগতি ও মৌসুমি কারণে আগামী মাসগুলোয় চাহিদা হ্রাস পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বুধবার জানায়, পরিশোধনাগারের কার্যক্রমের ধীরগতি ও চাহিদা কমায় যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেট মজুত বেড়েছ