হাসপাতালে শয্যাসংকট, মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
Published: 2nd, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হওয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ও শহরের মণ্ডলপাড়ায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মেডিসিন ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডের শয্যার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছেন। শয্যা না পাওয়ায় অনেকে করিডর ও মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শহরের নলুয়াপাড়া এলাকার মুদিদোকানি ইয়াকুব হাওলাদার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইয়াকুবের স্ত্রী আছিয়া বেগম প্রথম আলোকে জানান, শয্যা না থাকায় মেঝেতে কষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার ফতুল্লার গেদ্দার বাজার এলাকার ডেঙ্গু রোগী সেলিম মিয়াও শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, চার দিন ধরে তাঁর জ্বর, মাথাব্যথা ও বমি হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গরমের কারণে মেঝেতে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে আগস্ট মাসের তুলনায় দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স শিবলী আক্তার। তাঁর ভাষ্য, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডেঙ্গু রোগীরা আসছেন, তবে শহরের রোগীর সংখ্যাই বেশি।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি অন্য সময়ের তুলনায় খারাপ। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের ভিড়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।