রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন, মোটরসাইকেলে এসে গুলি–ছুরিকাঘাত
Published: 2nd, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানার মহব্বত গলি পুরাতন কাস্টম এলাকা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন কয়েকজন কিশোর-তরুণ। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে ১২ থেকে ১৫ জন এসে তাঁদের লক্ষ্য গুলি-ছুরিকাঘাত করে চলে যান। গতকাল বুধবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয় মো. রিয়াদ (১৭)। ছুরিকাঘাতে আহত হন মো. সাইফুল (১৭), মো.
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ৬টি মোটরসাইকেল করে ১২ থেকে ১৫ জন এসেছিলেন। প্রথমে দাঁড়িয়ে থাকা নুর উদ্দিনকে কোপানোর চেষ্টা করা হয়। পরে সাইফুলকে কোপানো হয় কিরিচ দিয়ে। আরমান ও নূর উদ্দিনের মধ্যে একজনকে হাতে ও অন্যজনকে মুখে কোপ দেওয়া হয়। এরপর ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর রিয়াদকে গুলি করে। হামলায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সন্ত্রাসী নাক্কা আলম।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স-৪ (৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) এর অধীনে পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তার করে। জাহাঙ্গীর মাঝি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীর মাঝি সদরঘাটসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
নাক্কা আলম জাহাঙ্গীর মাঝির ভাই। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই মিলে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের মামলা রয়েছে।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করায় তাঁর সহযোগীরা সন্দেহ করছেন ধরিয়ে পেছনে আহত কিশোর-তরুণদের হাত রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোটরসাইকেলে এসে গুলি ও হামলা চালান। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সন ত র স
এছাড়াও পড়ুন:
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু, সদরঘাটে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা
শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে ধানমন্ডি থানার দুর্গামন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে সদরঘাট টার্মিনালের পাশে বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। ঘাট এলাকা ও বুড়িগঙ্গার তীরজুড়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘাট ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নদীতে নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ট্রলার ও স্পিডবোটে টহল দিচ্ছেন। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বিকেল থেকেই ভক্ত ও দর্শনার্থীরা ঘাট এলাকায় ভিড় করছেন।
প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রীয় ঘাট কমিটির কর্মকর্তা রজত কুমার সুর প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বিকেল নাগাদ বীণা স্মৃতি ঘাটে এসে পৌঁছাবে। এ উপলক্ষে ঘাটকেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে এসেছেন সবিতা রানী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর পরিবারের সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বীণা স্মৃতি ঘাটে আসি। এবারও স্বামী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছি। এটি আমাদের কাছে এক বিশেষ মুহূর্তের দিন।’
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘাট ও আশপাশের প্রতিটি পয়েন্টে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন আছে। একই সঙ্গে একাধিক ট্রলার ও স্পিডবোটে টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেলা তিনটায় শুরু হওয়া বিসর্জন কার্যক্রম চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের নাগরমহল ঘাট এলাকায় আরেকটি বিসর্জন মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অনুপ কুমার বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রতিমা বুড়িগঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। মূলত সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে কেরানীগঞ্জের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে তাঁদের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।