ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গসহ ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক অধিকারকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করেছেন ‘কমিউনিটি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘সলিডারিটি উইথ প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মানবাধিকারকর্মী, লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তাঁদের অবস্থান ফিলিস্তিনের মানবতার পক্ষে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে টু-স্টেট সলিউশন (দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান) নয়; পুরো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন, সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বের কিছু শক্তিশালী রাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে, যা একটি ইতিবাচক সংকেত। তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ফিলিস্তিনকে মানবিক ও রাজনৈতিকভাবে সমর্থন দিতে আহ্বান জানান। এ ছাড়া নৌবহরে যাওয়া শান্তিকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণে সহযোগিতার আহ্বান জানান তাঁরা।

আটক মানবাধিকারকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, যাঁদের বন্দী রাখা হয়েছে, তাঁদের নির্দ্বিধায় নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সবচেয়ে বড় দাবি হলো—ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা দ্রুত বন্ধ করতে হবে; ফিলিস্তিনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়ায় বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে স্যালুট জানান তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁর সুস্থতা ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কামনা করা হয়।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল করে ‘কমিউনিটি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস’। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে আবার শাহবাগে ফিরে শেষ হয়। এ সময় তাঁরা ‘ফর দ্য রিভার টু সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ স্লোগান দেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ