যুবলীগ কর্মীর ইজারা নেওয়া পুকুর দখল করে মাছ ধরায় যুবদল নেতাকে হত্যা
Published: 2nd, October 2025 GMT
বগুড়ার কাহালুতে যুবদলের নেতা রাহুল সরকার (৩০) হত্যা মামলার আসামি জামিল হোসেন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন খাতুনের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে আসামি জামিল হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি একটি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। যুবদলের নেতা রাহুল সরকার সেই পুকুর দখল করে মাছ ধরতে গেলে তিনি নিষেধ করেন। তখন বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে একটি পুকুরে মাছ শিকারের সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন যুবদল নেতা রাহুল সরকার। তিনি কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি বগুড়া শহরের কৈগাড়ী এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি বগুড়া শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনার দিন রাতে দূরপাল্লার কোচে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় জেলার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ কাশিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে জামিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। জামিল হোসেনের বাড়ি কাহালু উপজেলার পাল্লাপাড়া গ্রামে। তিনি যুবলীগের সক্রিয় কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে গতকাল বুধবার কাহালু থানায় মামলা করা হয়। মামলায় জামিল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হয়। পাশাপাশি আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাহালু থানার উপপরিদর্শক মাসুদ রানা। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু এক দিনের মাথায় আজ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জামিল হোসেনের বরাত দিয়ে বগুড়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, কাহালু উপজেলার মাগুরা গ্রামে ওয়াক্ফ স্টেটের একটি পুকুরে এত দিন মাছ চাষ করতেন যুবলীগের কর্মী জামিল হোসেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর পুকুরটি দখলে নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন যুবদলের নেতা রাহুল সরকার। এ নিয়ে রাহুল সরকারের সঙ্গে জামিলের বিরোধ তৈরি হয়। গত মঙ্গলবার ওই পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন রাহুল সরকার। তখন লোকজন নিয়ে জামিল হোসেন সেখানে গিয়ে তাঁকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাহুল সরকার ছুরিকাহত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র হ ল সরক র উপজ ল র য বদল র
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।