কুমিল্লায় ট্রাক বিকল হয়ে পাঁচ কিলোমিটার যানজট, ৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
Published: 2nd, October 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি পণ্যবাহী ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কংশনগর এলাকায় ট্রাকটি বিকল হয়ে গেলে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দেয়।
স্থানীয় ও যানবাহনচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামত না হওয়ায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের অবস্থা বেহাল। সড়কজুড়ে এখন বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। ফলে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। এর মধ্যেই সকালে কংশনগর এলাকায় একটি সিলেটগামী পণ্যবোঝাই ট্রাকের পেছনের চাকা পাংচার হয়ে সেটি মহাসড়কে বিকল হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চালক, হেলপার ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে ট্রাকের পেছনের চাকা পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেরামতের কাজ শেষ হলেও দুপুর পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও তা ছিল ধীর গতির।
মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা নগরে আসেন বিপ্লব সাহা। তিনি বলেন,‘দুর্গাপূজায় কুমিল্লা নগরে এক স্বজনের বাসায় যাওয়ার জন্য সকাল ৯টার দিকে মুরাদনগর থেকে বাসে উঠেছি। কুমিল্লা শহরে পৌঁছাতে আমার দেড়টা বেজেছে। অথচ এই পথটি সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার। পূজার ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত পরশুদিন দেবীদ্বার এলাকায় একটি লরি বিকল হয়ে একই দুর্ভোগ হয়েছিল। মহাসড়কটি আর কতটা খারাপ হলে মেরামত হবে আমাদের জানা নেই।’
ফারজানা ট্রান্সপোর্টের বাসচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই মহাসড়ক এখন মানুষের কাছে মহাদুর্ভোগের আরেক নাম। এমনিতেই ভাঙা ও গর্তে ভরা সড়কটিতে প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। এর মধ্যে যদি কোনো গাড়ি বিকল হয়, তাহলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। আজও সকাল থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজটের ভোগান্তি বেলা ২টা পর্যন্ত পোহাতে হয়েছে।’
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সকালে কংশনগর এলাকায় একটি ট্রাকের চাকা পাংচার হয়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত সেটি মেরামতের ব্যবস্থা করে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মহাসড়কের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে খুব খারাপ। বড় বড় গর্তের কারণে এমনিতেই যান চলাচল ধীর গতিতে হয়। সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আরও সমস্যা হয়। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এল ক য় ম র মত য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ট্রাক বিকল হয়ে পাঁচ কিলোমিটার যানজট, ৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি পণ্যবাহী ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কংশনগর এলাকায় ট্রাকটি বিকল হয়ে গেলে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দেয়।
স্থানীয় ও যানবাহনচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামত না হওয়ায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের অবস্থা বেহাল। সড়কজুড়ে এখন বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। ফলে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। এর মধ্যেই সকালে কংশনগর এলাকায় একটি সিলেটগামী পণ্যবোঝাই ট্রাকের পেছনের চাকা পাংচার হয়ে সেটি মহাসড়কে বিকল হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চালক, হেলপার ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে ট্রাকের পেছনের চাকা পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেরামতের কাজ শেষ হলেও দুপুর পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও তা ছিল ধীর গতির।
মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা নগরে আসেন বিপ্লব সাহা। তিনি বলেন,‘দুর্গাপূজায় কুমিল্লা নগরে এক স্বজনের বাসায় যাওয়ার জন্য সকাল ৯টার দিকে মুরাদনগর থেকে বাসে উঠেছি। কুমিল্লা শহরে পৌঁছাতে আমার দেড়টা বেজেছে। অথচ এই পথটি সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার। পূজার ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত পরশুদিন দেবীদ্বার এলাকায় একটি লরি বিকল হয়ে একই দুর্ভোগ হয়েছিল। মহাসড়কটি আর কতটা খারাপ হলে মেরামত হবে আমাদের জানা নেই।’
ফারজানা ট্রান্সপোর্টের বাসচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই মহাসড়ক এখন মানুষের কাছে মহাদুর্ভোগের আরেক নাম। এমনিতেই ভাঙা ও গর্তে ভরা সড়কটিতে প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। এর মধ্যে যদি কোনো গাড়ি বিকল হয়, তাহলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। আজও সকাল থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজটের ভোগান্তি বেলা ২টা পর্যন্ত পোহাতে হয়েছে।’
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সকালে কংশনগর এলাকায় একটি ট্রাকের চাকা পাংচার হয়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত সেটি মেরামতের ব্যবস্থা করে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মহাসড়কের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে খুব খারাপ। বড় বড় গর্তের কারণে এমনিতেই যান চলাচল ধীর গতিতে হয়। সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আরও সমস্যা হয়। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।