বিল গেটসের নজর এবার মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা বিদ্যুতের উৎসে
Published: 2nd, October 2025 GMT
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন। কাজ থেকে অবসর নিলেও নিজের প্রতিষ্ঠা করা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবন ও গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দাতব্য কাজে শত শত কোটি মার্কিন ডলার দান করেছেন তিনি। এ ছাড়া তার আরেকটি পরিচয় আছে, তিনি ব্রেকথ্রু এনার্জির প্রতিষ্ঠাতা। বিল গেটস সম্প্রতি মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা বিদ্যুতের উৎস নিয়ে একটি লেখা নিজের ব্লগ সাইট ‘গেটস নোটস’-এ প্রকাশ করেছেন। পাঠকদের জন্য লেখাটি সংক্ষেপে প্রকাশ করা হলো।
আমার ছেলে ররি যখন ছোট ছিল, তখন আমরা একসঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র দেখতে খুব ভালোবাসতাম। আমাদের বাবা-ছেলের বেশ দারুণ শখ ছিল এটি। বিশাল বিশাল যন্ত্রপাতি দেখা আর তা কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, তা জানতে পেরে আমরা সব সময় খুব মজা পেতাম। স্মরণীয় ভ্রমণ হিসেবে আমরা আইসল্যান্ডের থিরিহনুকাগিগুর নামের আগ্নেয়গিরির কাছে অবস্থিত একটি ভূতাপীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। আমার মনে আছে, মাটি থেকে বেরিয়ে আসা বিশাল গরম বাষ্পের কুণ্ডলী দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। ভূপৃষ্ঠের কয়েক হাজার ফুট নিচে থেকে তাপ কাজে লাগিয়ে মানুষ কীভাবে আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারে, তা ভেবে আমি অবাক হয়েছিলাম। এই বছরের শুরুতে যখন আমি উটাহর বিভার কাউন্টিতে কেপ স্টেশন পরিদর্শন করি। সেখানে আমি পুরোনো সেই অনুভূতি পাই। উটাহতে বিশ্বের বৃহত্তম উন্নত ভূতাপীয় বিদ্যুতের ভবিষ্যৎকেন্দ্র তৈরি হতে যাচ্ছে।
উদ্ভাবনী উপায় ভূতাপীয় শক্তিখুব কম মানুষই ভূতাপীয় শক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করেন। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত শক্তির ১ শতাংশের কম আসে ভূতাপীয় শক্তি থেকে। ফার্ভো এনার্জি নামে একটি প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর তাপকে বিদ্যুতে রূপান্তরের চেষ্টা করছে।
ব্রেকথ্রু এনার্জি ও আমি ফার্ভোর একজন গর্বিত সমর্থক। কেপ স্টেশনে তাদের অনেক অগ্রগতি দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। কোম্পানিটির নেভাদাতে তৈরি পাইলট প্রকল্পটি ২০২৩ সালে ৩.
ভূতাপীয় শক্তি নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী পরিষ্কার শক্তি সরবরাহের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল উপায়। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মেটাতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের শক্তি উৎপাদনের উপায় প্রয়োজন। বাতাস ও সৌরশক্তির মতো অনিয়মিত বিদ্যুৎ উৎস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের এমন শক্তির উৎসেরও প্রয়োজন হবে যা জলবায়ুকে পরিবর্তন না করে দিনরাত কাজ করতে পারে। ভূতাপীয় উৎস ও পারমাণবিক শক্তি এমনই উৎস।আরও পড়ুনবিল গেটস, স্টিভ জবসদের সন্তানেরা কে কোথায়, কী করেন তাঁরা?১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪১৫ হাজার ফুট গভীরে ড্রিল
ভূতাপীয় শক্তির পেছনের বিজ্ঞান বেশ সহজ। পৃথিবীর অভ্যন্তর অত্যন্ত উত্তপ্ত। আপনি যত গভীরে যাবেন মাটি তত বেশি গরম হবে। আপনি যদি কোনো তরলকে সেই তাপে উষ্ণ করতে যথেষ্ট গভীরে পাম্প করতে পারেন। তারপর তা আবার পৃষ্ঠে পাম্প করে নিয়ে আসলে গরম তরলকে বাষ্পে পরিণত করতে পারেন। তা ব্যবহার করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারেন। বিষয়টি অন্যান্য অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতোই।
যদিও সেই শক্তিকে কাজে লাগানো বাস্তবে অনেক কঠিন। কিছু জায়গায় প্রয়োজনীয় তাপ পেতে মাত্র কয়েকশো ফুট নিচে যেতে হয়। আবার অন্য জায়গায় এক মাইল বা তারও বেশি নিচে খনন করতে হয়। কেপ স্টেশনের বেশির ভাগ কূপ ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার ফুট গভীর। সবচেয়ে গভীর কূপটি মাটির নিচে বিস্ময়কর ১৫ হাজার ফুট পর্যন্ত প্রসারিত। এটি এমন গভীরতা যেখানে ৫০টি স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে একটির ওপর আরেকটি রাখা যাবে।
বর্তমানে বেশির ভাগ ভূতাপীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি টেকটোনিক প্লেটের সীমানার কাছাকাছি অবস্থিত। সেখানে ব্যবহারযোগ্য তাপ খুঁজে পেতে খুব গভীরে খনন করতে হয় না। এই কারণেই আইসল্যান্ড বা ক্যালিফোর্নিয়ার মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় স্থানে প্রায়ই এই কেন্দ্র দেখা যায়। তবে ফার্ভোর পদ্ধতি ভূতাপীয় শক্তিকে আরও বেশি স্থানে বিকল্প হিসেবে কাজের সুযোগ দেবে।
আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫হরাইজন্টাল ড্রিলিং ও বদ্ধ সিস্টেমফার্ভোর সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনের মধ্যে একটি অনুভূমিক ড্রিলিং বা হরাইজন্টাল ড্রিলিং। যেখানে কেবল সোজাসুজি নিচে খনন করার পরিবর্তে ফার্ভো তাদের কূপকে সবচেয়ে গভীর বিন্দুতে ৫০০০ ফুট পর্যন্ত অনুভূমিকভাবে প্রসারিত করে। এই কৌশল সাধারণত তেল ও গ্যাস শিল্পে বিভিন্ন আধারের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। একই নীতি ভূতাপীয় শক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একই গভীরতা থেকে আরও বেশি তাপ অ্যাক্সেস করার মাধ্যমে ফার্ভোর কেন্দ্র প্রচলিত ভূতাপীয় কেন্দ্রের চেয়ে কম খরচে তৈরি করা যায়। এই কেন্দ্র আরও বেশি স্থানে কার্যকর করা সম্ভব হয়। এগুলো স্কেল আপ করাও সহজ। এসব কেন্দ্র বিশ্বের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই কৌশল তেল ও গ্যাস শিল্পে ব্যবহৃত পদ্ধতির প্রায় অনুরূপ হওয়ায় ফার্ভো সেই ক্ষেত্রের কর্মীদের ন্যূনতম প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করছে। কোম্পানিটির সিইও সহ ৬০ শতাংশ কর্মচারী আগে তেল ও গ্যাস শিল্পে কাজ করতেন।
অনুভূমিক ড্রিলিং ছাড়াও ফার্ভোর পদ্ধতি বেশ আলাদা। যখন বেশিরভাগ মানুষ ভূতাপীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা ভাবেন তখন তারা মাটি থেকে বাষ্পের মেঘ বেরিয়ে আসতে দেখেন। এমনটা আমি আর ররি আইসল্যান্ডে দেখেছিলাম। ২০২৬ সালে কেপ স্টেশন চালু হলে আপনি কোনো বাষ্প দেখতে পাবেন না।
এই কেন্দ্রটি একটি বদ্ধ সিস্টেম ব্যবহার করবে। ভূতাপীয় শক্তি জলবায়ুবান্ধব শক্তির অন্যতম উৎস। এর একটি খারাপ দিক হচ্ছে সেখানে প্রচুর পানি ব্যবহৃত হয়। যে বাষ্প বেরিয়ে যেতে দেখা যায়, তা আসলে পানি। ফার্ভোর প্রযুক্তি সেই পানিকে ধরে ফেলে সিস্টেমটি চালু রাখতে মাটির নিচে আবার সঞ্চালন করে।
ভূতাপীয় শক্তির ব্যবহার সত্যিই একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি। এটি যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে জেনে আমি খুশি। কেপ স্টেশন পরিদর্শনের সময় সিনেটর জন কার্টিসকে আমার পাশে পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করেছি। ফার্ভোর মতো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি স্বাধীনতা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করবে। এসব বিষয়ে আমাদের চমৎকার আলোচনা হয়েছে। আমি সিনেটরকে বলেছি, উটাহকে নেতৃত্ব দিতে দেখে বেশ ভালো লাগছে। শক্তি উদ্ভাবন-বান্ধব নীতিসহ সেখানে প্রকৃত স্থাপনা তৈরি হচ্ছে।
এই ধরনের প্রচেষ্টা আমাদের দেশকে বিশ্বব্যাপী শক্তি উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করবে। আমি একসময় ভাবতাম, ভূতাপীয় শক্তি কখনোই বৈশ্বিক জ্বালানিতে ৫ শতাংশের বেশি হবে না। এখন আমি বিশ্বাস করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ হবে ভূতাপীয় কেন্দ্র থেকে। ভবিষ্যতে ভূতাপীয় শক্তি বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। ফার্ভোর মতো প্রতিষ্ঠান কীভাবে এই প্রযুক্তিকে নতুন গভীরতায় নিয়ে যাচ্ছে, তা দেখতে পাওয়া দারুণ বিষয় বটে।
ভাষান্তর: জাহিদ হোসাইন খান
সূত্র: গেটস নোটস
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র এই ক ন দ র ব ল গ টস ব যবহ র ব যবহ ত আম দ র র জন য উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত ‘আমা দাবলাম’ জয় করছেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। গত ৪ নভেম্বর নেপাল সময় দুপর ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার এই পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
পর্বতারোহণ বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসাবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আরো পড়ুন:
রঙ হারাচ্ছে অদম্য মেধাবীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন
উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ
আমা দাবলাম খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।
চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, “আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সব তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।”
তিনি বলেন, “আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সব প্রাণী শক্তিশালী। আসুন, ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরো বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।”
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছাড়েন তৌকির। এরপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় তার মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তৌকির শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা এক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষার পাত। এই তুষার পাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১ এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফিট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরো খারাপ হলে তাদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাবার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম পর্বত
তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচদিন। তরপর সুখবর আসে রুট ওপেন হবার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এইদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌছান তিনি।
তৌকির বিশ্বাস করেন, “স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।”
তরুণ এই পর্বতারোহী এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৌকির ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারো উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক ও ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
তারও আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৌকির খুম্বু রিজিওনের ৫০৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন এবং ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন।
তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল-ই তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন
ঢাকা/মাসুদ