গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহরের একটি বাদে বাকি সব জাহাজ আটক করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। এরপর ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ওই নৌবহরে থাকা বাংলাদেশি শহিদুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফেসবুকে ওই ভিডিও বার্তায় নিজের শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এই নৌবহরে ৪৩টি জাহাজ ছিল। দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ওই বহরে থাকা ‘কনশানস্’ নামের একটি জাহাজে যাত্রা করেন। বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে নৌবহর গাজার কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছালে ইসরায়েলি সেনারা জাহাজগুলোতে এসে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া অধিকারকর্মীদের আটক করতে থাকে। নৌবহরের ত্রাণবাহী জাহাজসহ অধিকারকর্মীদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পিতবার সন্ধ্যার দিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বহরে থাকা একটি বাদে বাকি সব জাহাজ আটক করা হয়েছে।

এর কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে ওই ভিডিও বার্তা দেন শহিদুল আলম। ভিডিওর ক্যাপশনের তিনি লেখেন, ‘সাগর খুবই উত্তাল। এইমাত্র বমি হলো, এখন শুয়ে আছি।’

ভিডিওতে শহিদুল আলম বলেন, ‘বমি করার পরপরই সরাসরি সম্প্রচারে যাওয়াটা স্বাভাবিক নয় বলেই আমার ধারণা। আমি এখন মেঝেতে শুয়ে আছি। তাই আমি বরং ক্যামেরাটাকে ঘুরিয়ে দিচ্ছি। দেখা যাক, এটা কাজ করে কি না। আশা করি এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’

শহিদুল আলম বলেন, ‘সময়টা বেশ উপযুক্ত। কারণ, আমি এইমাত্র বিবিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছি। সাক্ষাৎকারটি চলাকালে বা এর পরপরই জাহাজটি দুলতে শুরু করে। এ সময় আমি অসুস্থবোধ করছিলাম এবং বমি করার জন্য একটি ব্যাগ খুঁজছিলাম। ভাগ্যক্রমে ঠিক সময়েই একটি ছোট্ট ব্যাগ পেয়ে যাই। তাতে মেঝেটা নোংরা হওয়া থেকে রক্ষা পায়। তবে হ্যাঁ, আমি ঠিক আছি।’

জাহাজে একজন চিকিৎসক তাঁর দেখাশোনা করছেন বলে জানান শহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, কেউ আমার কম্পিউটার ও টেবিলে থাকা অন্যান্য সরঞ্জাম গুছিয়ে রেখেছেন। সব জিনিস মেঝেতে নামিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে সেগুলো পড়ে না যায়। সমুদ্র এখনো খুবই উত্তাল। বাইরে এখনো আলো আছে। আশা করি, আমরা খুব দ্রুত এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব। আমি ঠিক আছি। এটা একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা বলতে হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ফ সব ক ন বহর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ