আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের মামলা
Published: 3rd, October 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রযুক্তি তারকাদের কাছে এখন হুমকিস্বরূপ। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পর্নো বা আপত্তিকর ভিডিও।
গত কয়েক বছরে ভারতের বেশ কজন তারকা অভিনেত্রীর ‘ডিপফেক’ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ তালিকায় রয়েছেন— রাশমিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল, আলিয়া ভাট, সানি লিওন প্রমুখ। এবার বলিউড তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের ডিপফেক বা আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে নেট দুনিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন এই তারকা যুগল।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
গোপন বিয়ের ছবি প্রকাশ না করার কারণ জানালেন রানী
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বানানো ভুয়া ও আপত্তিকর ভিডিও সরাতে গুগল ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর, অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া আদালতে প্রায় চার কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। পাশাপাশি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, ভবিষ্যতে যেন এমন ভিডিও আর তৈরি বা শেয়ার না করা হয়। মামলার নথিতে শত শত স্ক্রিনশট ও ভিডিও লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ তারকা দম্পতির অভিযোগ—এসব ভুয়া ভিডিও কেবল তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে না, বরং এগুলো নতুন এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হলে মিথ্যা তথ্য আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অভিষেক-ঐশ্বরিয়া ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে কফি মগ ও টি-শার্টের মতো নানা সামগ্রী। একই সঙ্গে এআই দিয়ে তৈরি করা নায়িকার নানা বিকৃত অন্তরঙ্গ ছবি নেটপাড়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া ১৫০০ পাতার অভিযোগপত্রে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউটিউবের লিংক দেওয়া হয়েছে। যেগুলোতে বচ্চন দম্পতির মুখ স্পষ্ট!
এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট গুগলের আইনজীবীকে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ
টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের পর এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। যদিও তা এখন পর্যন্ত গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে আছে।
আজ শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে।
যদিও সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুড ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ৭ শতাংশ কমেছে। কারণ, সরবরাহ অতিরিক্ত থাকার পরও ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।
সূত্র জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নভেম্বরে তেল উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে, যা অক্টোবরের বৃদ্ধির তিন গুণ। সৌদি আরব বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ।
বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, যদি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, তাহলে সেটি আবার তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এমনকি বছরের সর্বনিম্ন দাম প্রায় ৫৫ ডলারও হতে পারে।
এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের কার্যক্রম ধীরগতি ও মৌসুমি কারণে আগামী মাসগুলোয় চাহিদা হ্রাস পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বুধবার জানায়, পরিশোধনাগারের কার্যক্রমের ধীরগতি ও চাহিদা কমায় যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেট মজুত বেড়েছ