রড ল্যাথামের পর টম ল্যাথাম, কেভিন কারেনের পর স্যাম কারেন, ল্যান্স কেয়ার্নসের পর ক্রিস কেয়ার্নস—ছেলেদের ক্রিকেটে বাবার পর ছেলের বিশ্বকাপ খেলার নজির কম নেই। অস্ট্রেলিয়ার মার্শ পরিবারের অর্জন তো আরও বড়। জিওফ মার্শের পর বিশ্বকাপে খেলেছেন তাঁর দুই ছেলে শন ও মিচেল মার্শ।

তবে পুরুষ ক্রিকেটে একই পরিবারের দুই প্রজন্মের বিশ্বকাপ খেলার ঘটনা বেশ কয়েকটি থাকলেও নারী ক্রিকেট ব্যতিক্রম। মেয়েদের বিশ্বকাপের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও মায়ের পর মেয়ের বিশ্বকাপ খেলার ঘটনা এত দিন ছিলই না। অবশেষে ২০২৫ সালে এসে মা–মেয়ের দেখা পেল নারী বিশ্বকাপ। আর এই কীর্তিটি গড়েছেন আন–মারি ম্যাকডোনাল্ড ও কিম গার্থ।

মেয়ে গার্থের কথাই আগে বলা যাক। বুধবার নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে গার্থের। ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে খুব একটা খারাপ করেননি। নয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭ বলে করেছেন ৩৮ রান। আর বল হাতে ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।

ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে স্মরণীয় কিছু করতে না পারলেও মাঠে নেমেই নারী বিশ্বকাপে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন গার্থ। যে ইতিহাসে অংশ তাঁর মা ম্যাকডেনাল্ডও। ১৯৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ নারী বিশ্বকাপে খেলেছিলেন ম্যাকডোনাল্ড।

ডানহাতি পেসার ম্যাকডোনাল্ড খেলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। সেবার আইরিশদের দলটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুবার জিতেছিল।

মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে কিম গার্থ (ডান থেকে প্রথম).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভাষা আন্দোলনের তাত্ত্বিক বিষয় আমাকে আকর্ষণ করেছিল’

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ