বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীরা নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খুব বেশি যত্নবান হন না। নারীদের এমন কিছু রোগ রয়েছে, যেগুলো নিয়ে কথা বলতেও স্বাচ্ছন্দ্য করেন না নারীরা। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে থাকে।

নারীরা সাধারণত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি,  ঋতুস্রাবসংক্রান্ত জটিলতা, স্তন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার, যৌন ও প্রজননবিষয়ক রোগ, হরমোন সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকেন। অনেক সময় নারীরা এসব রোগ সম্পর্কে আলোচনাও করতে চান না। আবার দেখা যায় যে,  মেনোপজের পর নারীদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো?

যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে

নারীদের অটোইমিউন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। দেখা যায় যে শরীরের কোষগুলো সুস্থ কোষকে আক্রমণ করে। নানাবিধ অটো ইমিউন রোগে নারীরাই আক্রান্ত হন সবচেয়ে বেশি। সাধারণ বাতজনিত কারণে এই সমস্যা হয়।

একটি জরিপে দেখা গেছে,  ‘‘বৈশ্বিকভাবে ১ লাখ নারীর মধ্যে ৪৫৫ জন মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথায় আক্রান্ত হন। আমাদের দেশে ১ লাখ নারীর মধ্যে ৫৭৫ জনের এ রোগ আছে।’’ অর্থাৎ বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে ১২০ জন বেশি।

চোখের রোগগুলোও পুরুষের তুলনায় নারীদেরই বেশি হয়। এসব রোগের মধ্যে শুষ্ক চোখ, গ্লুকোমা, ছানি, বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং থাইরয়েডের কারণে চোখের রোগ অন্যতম প্রধান।

বিশেষজ্ঞদের মতে,  ৪০ বছর বয়স থেকেই নারীদের নিয়মিত ম্যামোগ্রাম করাতে হবে। এই পরীক্ষার  মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কতটুকু। এছাড়া স্তনে কোনো ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘৪০ বছরের বেশি বয়সের নারীরা বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে নিতে পারেন শরীরের সার্বিক সুস্থতা। বিশেষ করে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, রক্ত সল্পতার সমস্যা, থাইরয়েডের সমস্যাগুলো গুরুত্ব পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই চিকিৎসা করা উচিত।’’

ইউকন হেলথের উইমেন সেন্টারের বেকলি ইমেজিং সেন্টারের রেডিওলজিস্ট অ্যালেক্স মেরকুলভ বলেছেন, ‘‘নারীদের উচিত ঘরে তৈরি তাজা খাবার গ্রহণ করা,  প্যাকটেজাত খাবার  এড়িয়ে যাওয়া।  কারণ এতে ট্রান্স-ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এসবের পাশাপাশি চিনি ও লবণ কম খেতে হবে। এতে অনেক সময় মোকাবিলা সহজ হবে।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে আরো ২৬ বাংলাদেশি জেলে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে আরো ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

রবিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার রাতে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

সৌদিতে বাস-ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এর আগে, শনিবার রাতে, ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এখন, আবারও, রবিবার ভোরে, আরো ২৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হলো।

যদিও বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, ভারতীয় জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করছে এবং ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করছে। ফলে উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে কোস্টগার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ