নেত্রকোনায় ৮ ঘণ্টার প্যারোলে বাবার জানাজায় যুবলীগ নেতা
Published: 2nd, October 2025 GMT
নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে আট ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন যুবলীগের নেতা মো. মাকসুদুর রহমান। এ সময় তাঁর বাঁ হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বাবার দাফন শেষে আবার তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাকসুদুর রহমান খালিয়াজুরি উপজেলা সদরের বড়হাটি এলাকার বাসিন্দা মো.
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকেলে মাকসুদুর রহমানের বাবা ফজলুর রহমান বার্ধক্যের কারণে নিজ বাড়িতে মারা যান। পরে স্বজনেরা মাকসুদুর রহমানের প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে জেলা প্রশাসন তাঁকে আট ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেয়। পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে মদন উপজেলার উচিতপুর ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলারে করে খালিয়াজুরি কলেজরোড এলাকায় ফেরিঘাটে নেওয়া হয়। পরে ফেরিঘাট থেকে পায়ে হেঁটে খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে বাবার লাশ দাফনের জন্য পূর্ব খালিয়াজুরি আবোড়া কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার সময় মাকসুদুরের দুই পাশে দুজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাঁর বাঁ হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। হাতকড়ায় দড়ি লাগিয়ে একজন পুলিশ সদস্য তা ধরে রেখেছিলেন। এ ছাড়া আশপাশে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের ১৬ জুলাই খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২ জুলাই মজলু মিয়া নামের এক বিএনপি নেতা একটি মামলা করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানকে প্রধান আসামি করে ১৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই মামলার ১৬ নম্বর আসামি মাকসুদুরকে গ্রেপ্তার করে ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
হাতকড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুগবুল হোসেন বলেন, জানাজার সময় আসামির এক হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি তো বন্দী। নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে এমনটি হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।