কুষ্টিয়ায় মণ্ডপ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা ভাঙা, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি
Published: 2nd, October 2025 GMT
কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় এক বহুতল ভবনের দুটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার নবমীর রাতে পরিবার নিয়ে পূজামণ্ডপে ঘুরতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পর ফ্ল্যাটে চুরির বিষয়টি টের পান ভুক্তভোগীরা। চোরেরা ফ্ল্যাট থেকে টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার শাবল ও সেলাই রেঞ্চ জব্দ করেছে।
ভুক্তভোগী আইনজীবী প্রবীর স্যানাল বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে সহধর্মিণীকে নিয়ে পূজা মণ্ডপে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঘরের দরজার ছিটকিনিতে তালা আটকানো ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি দরজার তালা ভাঙা। ঘরে ঢুকে দেখি আসবাব এলোমেলো, আলমারির তালা খোলা। মেঝেতে কাপড় ছড়ানো। খোঁজ করে দেখি আলমারিতে রাখা ১ লাখ টাকা ও প্রায় ৬ ভরি সোনার গয়না নেই।’
প্রবীর স্যানাল আরও বলেন, ‘একই ভবনে বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটে থাকেন। চুরির বিষয়টি কেউ টের পাননি। স্থানীয় কোনো চক্র আমাদের গতিবিধি অনুসরণ করে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে তদন্ত করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
অন্য ভুক্তভোগী মৃত্যুরঞ্জন সরকার বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি এই বাসা ভাড়া নিয়েছি। এখানকার কাউকে চিনিও না। নাটোরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ছেলে কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে পড়াশোনার সুবাদে এখানে বাসা নিয়েছি। সেদিন স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে পূজামণ্ডপে গিয়েছিলাম। এ সময় বাড়িওয়ালা ফোন করে জানায় বাসায় চুরি হয়েছে। ফিরে এসে দেখি দরজার ছিটকিনি ভাঙা, আসবাব এলোমেলো। চোর ওয়ার্ডরোবে রাখা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও এক ভরি সোনার গয়না নিয়ে গেছে।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। চুরির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।