ইমামদের মাইনাসের চেষ্টা সফল হবে না: জাতীয় ইমাম পরিষদ
Published: 2nd, October 2025 GMT
ইমামদের অবমূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণের যে প্রচেষ্টা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও তা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ইমাম পরিষদের নেতারা।
তারা বলেন, “যারা অতীতে ইমামদের মাইনাস করতে চেয়েছিল, আল্লাহ তাদেরকেই মাইনাস করে দিয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জাতীয় ইমাম পরিষদ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া। তিনি বলেন, “যারা ইমামতি করছেন, তাদের কথা শুনতে প্রতিদিন মসজিদে যান মুসল্লিরা। একজন ইমামের বক্তব্য অনেককে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা করতে শিখায়। একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনে ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় বাধা—রাষ্ট্র ও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।”
তিনি বলেন, “ইমামদের জন্য নির্দিষ্ট আঙ্গিকে কথা বলার প্রেসক্রিপশন তৈরি করা হয়। কিন্তু অতীতে যারা ইমামদের নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে, তারা নিজেরাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে। ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে চান, তাদের উচিত ইমামদের মর্যাদা দেওয়া এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি করা।”
সভায় পরিষদের মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মুফতি ইমাদুদ্দিন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী ও মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনে ইমামদের অবদান অপরিহার্য। তারা নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের পাশাপাশি সমাজে চলমান দুর্নীতি, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি ও অন্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করছেন।
তারা অভিযোগ করেন, ইমামরা এখনও ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের যথাযথ মর্যাদা ও প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা। পাশাপাশি মসজিদভিত্তিক পরিচালিত মক্তবগুলোকে আরো কার্যকর করার আহ্বান জানান। সাইনবোর্ড সর্বস্ব নয়, বাস্তবিক ইমাম-আলেমদের দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দাবি ওঠে।
এছাড়াও মুসলিম অধ্যুষিত প্রতিটি গ্রামের স্কুলে ধর্মীয় ও কোরআনের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব ও আলেমরা অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স: এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই–ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার—প্রতিযোগিতার প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রথম রানার্সআপ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানার্সআপ ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও ২ দিনের ব্যাংকক ভ্রমণ, প্রথম রানার্সআপ দল ৮০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুবিধা পেয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস–বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
অতিথিদের কথা—উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও মননশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং জনস্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তাত্ত্বিক জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি এর প্রায়োগিক সফলতা নিয়েও কাজ করতে হবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।