কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোয় বাংকার নির্মাণে নজর
Published: 15th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত জম্মু ও কাশ্মীরে গ্রামগুলোয় নতুন বাংকার তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। আজ বুধবার ও আগের দিন মঙ্গলবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) সংলগ্ন গ্রামগুলো পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
বুধবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরির সালামাবাদ, লাগামা, বান্দি ও গিংগাল এলাকা পরিদর্শন করেন ওমর আবদুল্লাহ। এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ বিষয়ে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ‘ব্যক্তিগত’ বাংকার নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জম্মু বা কাশ্মীরের যেখানেই আমি গেছি, সবখানে আরও বাংকার নির্মাণের দাবি উঠেছে। মানুষের আশঙ্কা, পরিস্থিতি যেকোনো সময় খারাপ হতে পারে। তাই তাঁরা ব্যক্তিগত বাংকারের দাবি জানিয়েছেন।’
ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রথমে তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে ত্রাণ দেব। তারপর যেসব এলাকা গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব এলাকায় বাংকার তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করব।’
ইনডিভিজুয়্যাল বা ব্যক্তিগত বাংকার বলতে এমন আশ্রয়স্থল বোঝায়, যেখানে একজন ব্যক্তি বা একটি ছোট পরিবার আশ্রয় নিতে পারে। বোমা হামলা, পারমাণবিক বিস্ফোরণ, যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ এসব বাংকারে আশ্রয় নেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শনকালে ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে উপদেষ্টা নাসির আসলাম ওয়ানি, উরির বিধায়ক সাজাদ উরি এবং জেলার ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুনভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানে নিহত সেনাসদস্যের সংখ্যা বেড়ে ১৩: আইএসপিআর৬ ঘণ্টা আগেজম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের নর্দার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা। শ্রীনগর, ১৪ মে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওমর আবদ ল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা সম্প্রসারণে ২১ কোটি টাকার জমি কিনছে অলিম্পিক
ভবিষ্যতে কারখানা সম্প্রসারণে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ৭০২ ডেসিমেলের বেশি জমি কিনছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমি কেনা হচ্ছে গাজীপুরের কালীগঞ্জে। গতকাল রোববার জমিতে বিনিয়োগের এ তথ্য শেয়ারধারীদের জানানো হয়েছে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে, তারা গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৬৬৮ ডেসিমেল জমি কিনবে। তাতে খরচ হবে ২০ কোটি টাকা। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সাড়ে ৩৩ ডেসিমেল জমি কিনবে। কাঁচপুরে এ জমি কিনতে কোম্পানিটি বিনিয়োগ করবে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি। আলাদাভাবে চার ভাগে এসব জমি কেনা হবে। অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের নামেই এসব জমি কেনার কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি। ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এসব জমি কেনা হবে।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ দেশের বিস্কুট ও কনফেকশনারি খাতের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান। এনার্জি, এনার্জি প্লাস, নাটি, টিপসহ বাজারে প্রতিষ্ঠানটির নানা ব্র্যান্ডের বিস্কুট রয়েছে। এ ছাড়া বাজারে বহুল প্রচলিত পালস ব্র্যান্ডের ক্যান্ডিসহ নানা কনফেকশনারি পণ্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ১৯৮৯ সালে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২০০ কোটি টাকার মূলধনি এ কোম্পানির শেয়ারের সংখ্যা ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬। গত মে মাস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ৩২ শতাংশ উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে, ৩৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীর হাতে, ২১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও ১৩ শতাংশ ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। সব ধরনের খরচ ও কর বাদ দেওয়ার পর কোম্পানিটি এ সময়ে মুনাফা করেছে ১৮৩ কোটি টাকা। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) কোম্পানিটি ব্যবসা করেছে ২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকার। তার বিপরীতে এ সময়ে সব ধরনের খরচ ও কর বাদ দেওয়ার পর কোম্পানিটি মুনাফা করেছে প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি–মার্চ) কোম্পানিটি ব্যবসা করেছে প্রায় ৬৫৩ কোটি টাকার। এর বিপরীতে নিট মুনাফা করে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা।
এদিকে কারখানা সম্প্রসারণে জমিতে বিনিয়োগের ঘোষণার দিনে ঢাকার বাজারে গতকাল রোববার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম আড়াই টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৫২ টাকায়।