বিএসএমএমইউয়ে নার্সিং ভর্তিতে আবেদন শেষ ১৮ মে, ২০২১–এ এসএসসি হলেও আবেদন
Published: 17th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) নার্সিং অনুষদের অধীন ‘বিএসসি ইন নার্সিং’ কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন চলছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং কোর্সে প্রথম বর্ষে ছাত্র–ছাত্রী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ করতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা—
এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২১ ও ২০২২ সালে এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষাগুলোর জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৭ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩-এর কম হলে চলবে না। উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে জিপিএ-৩ থাকতে হবে।
প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। কোর্স চলাকালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না। কোর্সের যেকোনো পর্যায়ে বিবাহিত প্রমাণিত হলে ভর্তি বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুনইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফসহ নানা সুযোগ-সুবিধা১৫ জানুয়ারি ২০২৫বয়সসীমা—
২ জুলাই ২০২৫ সালে আবেদনকারীর বয়স অনূর্ধ্ব ২২ বছর হতে হবে।
আবেদন যেভাবে—
আগ্রহী প্রার্থীদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
নার্সিংয়ের আবেদন ও পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—
অনলাইনে আবেদন শুরু: ৬ এপ্রিল থেকে
ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন: ১৭ মে ২০২৫
আবেদনের শেষ দিন: ১৮ মে ২০২৫, রাত ১২টা
আরও পড়ুনমদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়নের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ৯ ঘণ্টা আগেপরীক্ষা কবে—
২৪ মে সকাল ১০টায় বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফলাফল ওই দিনই সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
মৌখিক পরীক্ষা ২৬ মে থেকে ২৭ মে সকাল ৯টায় গ্র্যাজুয়েট নার্সিং বিভাগ, একাডেমিক ভবন, বিএসএমএমইউ, পরিবাগ, ঢাকায় হবে।
প্রাথমিক নির্বাচিত প্রার্থীদের নামের তালিকা ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ছাত্রদলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাকে ভূলুণ্ঠিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বিগত প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত নির্বাচনে তথাকথিত প্রতিনিধি হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বিভিন্ন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড ও বিতর্কিত মন্তব্য জাতির সামনে ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চরম অপমানের সম্মুখীন করছে। সম্প্রতি প্রশ্নবিদ্ধ ডাকসুর বিতর্কিত মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে যে বিবৃতি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছেন, তা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার মাধ্যমে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এহেন ধৃষ্টতাপূর্ণ ইতিহাস বিকৃতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
এর আগে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা লিখেছেন, তা হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘ডিসেম্বর আমাদের বিজয় ও নিজস্ব আত্মপরিচয়ে পরিচিত হওয়ার গৌরবের মাস।
ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে টিপু সুলতান, তিতুমীর, রজব আলী হাবিলদার, মঙ্গল পান্ডে, লক্ষ্মীবাইসহ সহস্র শহিদ, যাঁদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল ব্রিটিশ সরকার, তাদের ২০০ বছরের সংগ্রামের ফলেই আমরা পেয়েছিলাম ১৯৪৭–এর বহুল কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
‘বিজয়ের সুখ উপভোগের আগেই দুর্ভাগা এই অঞ্চলে আবারও নেমে আসে শাসন নামে শোষণের অন্ধকার। সেখান থেকেই বাংলা ও বাঙালির রাষ্ট্র-আকাঙ্ক্ষার জন্ম। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা হয়। সহস্র শহিদের রক্ত, সহস্র বোনের সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড। আমাদের শহিদেরা আমাদের দিয়ে গেলেন একটুকরো লাল সবুজের পতাকা, নতুন নিজস্ব একান্ত ভূমি, দেশ, জাতীয়তা।
‘তথাপি, আমাদের রাষ্ট্র-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো না। স্বৈরাচার, দুঃশাসন, দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদ, হেজিমনি, গুম-খুন, বিচারিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যার পীড়নে এইটুকু দেশ ও দেশের মানুষ বারবার ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। ২০২৪ আমাদের সামনে আরেকবার সুযোগ এনে দিয়েছে রাষ্ট্র-আকাঙ্ক্ষা পূরণের। এ পথে সফল হওয়ার সময় কারা কারা ৭১-পরবর্তী সময়ের মতো গাদ্দারি করলো—একদিন ইতিহাসে তাদের নামও উচ্চারিত হবে; দ্বিগুণ ঘৃণায়।
‘মহান বিজয়ের মাসের শুরু আজ, আমাদের নতুন আত্মপরিচয় দেওয়া সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা—যাদের রক্তের মূল্যায়ন আমরা কোনোবারই করতে পারি না।’
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকসজ্জার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও সমালোচনা করেছে ছাত্রদল। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাভবন, কার্জন হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনকে আলোকসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে উদ্যাপন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ ঐতিহ্য হলেও এবার তা একেবারেই করা হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে উদ্যাপন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের এমন দৃষ্টিকটু ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অনীহার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস উদ্যাপনে প্রশাসনের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন অবহেলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।