ইন্ট্রাকোর ভোলা ডিপোতে তালা বিক্ষোভকারীদের
Published: 24th, May 2025 GMT
সিলিন্ডারে করে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধসহ কয়েকটি দাবিতে ইন্ট্রাকোর রিফুয়েলিং কোম্পানির ভোলা ডিপোতে তালা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরতলির বেপারীর দোকান এলাকায় অবস্থিত ওই ডিপোতে তালা দেওয়া হয়।
সেখানে আসার আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বাংলা স্কুল মাঠে সমাবেশ করে ‘আমরা ভোলাবাসী’। বৃষ্টির মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ইন্ট্রাকোর ডিপোতে আসেন তারা। সেখানে আরও কয়েকটি দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। এগুলো হলো– ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু,
গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা, ইপিজেড গড়ে তোলা, নদীভাঙন থেকে ভোলাকে রক্ষা ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
‘আমরা ভোলাবাসী’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলমের ভাষ্য, এসব দাবি আদায়ে দলমত নির্বিশেষে আন্দোলন করছেন। এসব ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ইন্ট্রাকো কোম্পানির ভোলা স্টেশনে তালা দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভোলা থেকে ঢাকায় গ্যাস নেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলা স্কুল মাঠের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম, বিজেপি জেলা সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, সিপিবি সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান, এনামুল হক, ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, ‘আমরা ভোলাবাসী’র নেতা মোবাশ্বিরুল হক নাইম, ওবায়েদ বিন মোস্তফাসহ নানা সংগঠনের নেতারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে একদিনে ৯ মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুরে একদিনেই নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দিনগত রাতে জেলার বীরগঞ্জের চাউলিয়া গ্রামে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি বাহা বেসরা (৫৫) নিহত হন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সামিয়েল মার্ডিকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্ত্রী মিনি হায়দার সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের নাগরগঞ্জ কলোনিপাড়া লিচু বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ (২২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফুর হত্যা ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুপুরে জেলার নবাবগঞ্জে খয়ের গুনি গ্রামে করতোয়া নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
একই উপজেলার মালভবানীপুর গ্রামের সোহরাফ হোসেনের মেয়ে সাথী আকতার (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া হাকিমপুর উপজেলার বাওনা আলিহাট গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী বৃষ্টি (১৯) ও একই উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মুনসুর আলী খোকা (৫০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিকেলে তাদের নিজ শয়নকক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একই রাতে বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ মল্লাপাড়া গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে তৌফিকুজ্জামান (৪৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিরল থানার ওসি আব্দুস ছবুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ দিন দুপুরে গলায় লিচুর বিচি আটকে বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগন ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোমিনের ছয়মাস বয়সের শিশু সন্তান আরফানের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আঁখি মনি (২৭) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। প্রবাসী হারুন অর রশিদের নতুন বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় ঘরের দরজা বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় আঁখি মনি দরজা খুলতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল জানান, অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।