২৩ ফুটবলারের সঙ্গে ১৯ জনের টেকনিক্যাল স্টাফ ও কর্মকতা, ৪২ জনের বড় একটি বহর নিয়ে ঢাকায় এসেছে সিঙ্গাপুর দল। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে শনিবার রাতেই তারা ঢাকায় পা রাখেন। হোটেল কয়েক ঘণ্টার বিশ্রাম নিয়ে আজই অনুশীলনে নামবে তারা। তবে ম্যাচের মূল ভেন্যু জাতীয় স্টেডিয়ামে নয় বিকেল ৪টা থেকে উত্তরা আর্মড পুলিশ মাঠে অনুশীলন করবে সিঙ্গাপুর দল।

ক্লোজড ডোর ট্রেনিং থাকায় সেখানে মিডিয়ার উপস্থিতি নিষেধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দলও রুদ্ধদ্বার অনুশীলন রেখেছে আজ। হামজাদের অনুশীলন হবে বসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারোনায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে সোমবার অবশ্য মূল ভেন্যুতে গিয়ে অনুশীলনের সুবিধা পাবে দুই দল।

২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার জন্য মঙ্গলবারের ম্যাচটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। গ্রুপ ‘ সি’তে বাংলাদেশ সহ অনান্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং। যেখানে গ্রুপের শীর্ষ দলটিই এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। এই গ্রুপে প্রতিটি দলই একটি করে ম্যাচ খেলেছে। 

এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের মাটিতে সুনীল ছেত্রীদের বিপক্ষে ড্র করেছে হামজারা। সিঙ্গাপুর আর হংকংয়ে ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল। তাই চারটি দলই গ্রুপে একটি করে পয়েন্ট পেয়েছে। আগামী ৯ ও ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। ১৮ নভেম্বর ফিরতি ম্যাচ খেলতে ভারতীয় দল ঢাকা আসবে। এরপর আগামী বছরের ৩১ মার্চ এই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলতে যাবেন হামজরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাজপথে এক ‘জাদুঘর’

রাজধানীর ধানমন্ডি লেক, হাতিরঝিল ও সদরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন জাদুঘর। হঠাৎ সড়ক থেকে উঠে যান ৪০ ফুট উপরে, ভাসেন বাতাসে। এমনই ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা নিয়ে মুক্তি পাচ্ছে তরুণ ম্যাজিশিয়ান রাজুর নতুন সিরিজ ‘লাইফ ইজ ম্যাজিক’। বৃহস্পতিবার এ সিরিজের টিজার প্রকাশিত হয়।  

ম্যাজিশিয়ান রাজু বলেন, জাদুর এই সিরিজ এক স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এটা নিছক জাদু নয়, আমার ভালোবাসা ও জীবন দর্শন।

তিনি বলেন, প্রায় এক বছরের প্রস্তুতি ও সাধনার ফসল এই ম্যাজিক সিরিজ। প্রস্তুতির পর ছয় মাস ধরে কাজ করেছে একটি পূর্ণাঙ্গ টেকনিক্যাল টিম। আমি চেয়েছি ম্যাজিক জীবনের অংশ হোক। রাস্তায়, ট্রাফিকে, বাজারে। শত শত মানুষের সামনে। চেয়েছি, মঞ্চের গণ্ডি পেরিয়ে ম্যাজিক ঢুকে পড়ুক যাপিত জীবনে৷ সেই চাওয়া পূর্ণ হলো। মানুষের বিস্ময়মাখা আনন্দিত মুখ দেখে প্রাণ জুড়িয়েছে।  

রাজু আরও বলেন, ম্যাজিকে এরকম কাজ বাংলাদেশে আগে কেউ করেনি। পথে পথে হাজার মানুষের ভিড়ে এমন ম্যাজিক দেখানো মানে শুধুই টেকনিক নয়। এজন্য সাহস লাগে, নিরাপত্তা লাগে আর লাগে দৃঢ় প্যাশন ও পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, ম্যাজিক সিরিজে আলাদা কোনো পরিচালক নেই। কারণ, এখানে দৃশ্যগুলো ঘটেছে ভিড়ের সড়কে, হাজারও মানুষের সামনে। তাই পুরো টিমই এখানে যৌথভাবে কাজ করে।

সিরিজটির ডিওপি ছিলেন স্বনামধন্য সিনেমাটোগ্রাফার হৃদয় সরকার। প্রযোজনা করেছে উইচিং এন্টারটেইনমেন্ট। শুটিং হয়েছে রাজধানীর ধানমন্ডি লেক, হাতিরঝিল, সদরঘাট, কাওরান বাজার, পুরান ঢাকা ও ওয়ারীতে।

ম্যাজিশিয়ান রাজু বলেন, আমি একা নই। আমার সঙ্গে ছিল একদল মানুষ— ক্যামেরা ক্রু, প্রোডাকশন বয়, সহকারী সবাই। তারা না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। তাদের পরিশ্রম, ধৈর্য ও বিশ্বাস আমাকে সাহস দিয়েছে। ‘লাইফ ইজ ম্যাজিক’ শিগগিরই মুক্তি পাবে একটি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ ও প্ল্যাটফর্মের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

রাজু বলেন, মানুষ যেভাবে সিনেমা-নাটক দেখে, তেমন করে ম্যাজিকও একদিন আমাদের বিনোদনের অংশ হয়ে উঠুক—সেই চেষ্টাই করছি। ম্যাজিক মানে শুধু শো নয়। এটা আমার ভালোবাসা, জীবনের অংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ