দীপিকা বিতর্কে এবার মুখ খুললেন কাজল
Published: 15th, June 2025 GMT
সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে দীপিকা পাড়ুকোনের অভিনয় করার কথা ছিল। তবে কর্মঘণ্টা, পারিশ্রমিক, ছবির লভ্যাংশ ভাগসহ নানা বিষয়ে মতবিরোধের জেরে সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন তিনি, যা নিয়ে এখনো বলিউডে চলছে তুমুল বিতর্ক। জানা গেছে, মা হওয়ার পর আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে রাজি নন দীপিকা, সেটা নিয়ে যত ঝামেলা। এ ইস্যুতে এখন পর্যন্ত কথা বলেছেন অনেক তারকা। এবার মুখ খুললেন কাজল।
কাজল বলেন, ১৯৯০-এর দশকে তিনি অভিনয় শুরু করার পর কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। পরিবারের পাশাপাশি প্রযোজকদের সহায়তায় তাঁর এ কাজটা সহজ হয়েছে। ‘আমি সেই অল্প কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে একজন ছিলাম, যারা একবারে একটি ছবিতে কাজ করতাম; একসঙ্গে চারটি সিনেমা করিনি। একটা সিনেমা শেষ করতাম, তারপর আরেকটা শুরু করতাম। ২০-৩০ ঘণ্টা কাজ করতে পারিনি। আমি সব সময়ই নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বাইরে কাজ করতে চাইনি। আমার মা-ও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন কাজল।
কাজল আরও জানান, স্বামী অজয় দেবগনের সঙ্গে প্রথম সন্তান নাইসার জন্মের পরও একই কথা হয়েছিল তাঁর।
কাজল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ করত
এছাড়াও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রে সেতু ভেঙে নিহত ২, নিখোঁজ ৩০
ভারতের মহারাষ্ট্রের পুণেতে ভেঙে পড়েছে ইন্দ্রায়ণি নদীর সেতু। রোববার(১৫ জুন) বিকেলে কুন্দমালা গ্রামে এ ঘটনায় দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভেঙে পড়ার সময় সেতুর ওপর অন্তত ১৫০ জন ছিলেন। এখনো পর্যন্ত ৩২ জনকে নদীর থেকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনী। আরো ৩০ জন খরস্রোতা নদীর পানিতে ভেসে গেছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
গত দুই ধরে বৃষ্টি হচ্ছে পুণের ওই অঞ্চলে। জায়গাটি লোনাভেলার কাছে। রোববার ছুটির দিন থাকায় এবং বৃষ্টি কিছুটা কম হওয়ায় সেখানে পিকনিকের জন্য ভীড় জমান পর্যটকরা।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, নদীর সামনে কমপক্ষে ৫০০ জন পিকনিকের কারণে জড়ো হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৫০ জন ওই সেতুতে হাঁটছিলেন। অনেকেই ছবি তুলছেন। এই সময় সেতু ভেঙে যায়। লোহার সেতুটি ব হু পুরনো। তাতে মরচে ধরেছিল। পর্যটকদের উঠতে মানাও করা হয়েছিল। কিন্তু অতি উৎসাহে তারা শোনেনি।
দুর্ঘটনাস্থলটি মহরাষ্ট্রের মভল বিধানসভা আসনের মধ্যে পড়ে। সেখানকার বিধায়ক সুনীল শেখলে জানান, ইন্দ্রায়ণি নদীর উপর ওই লোহার সেতুটি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো। গত দু’দিন ধরেই পুণের এই গ্রামে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তার ফলে নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, নদীর পানির তোড়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে স্থানীয়দের মতে, এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন এই সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। গত ৪-৫ বছর ধরে এই সেতুটির কোনো সংস্কার হয়নি।
ঢাকা/শাহেদ