প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসার সুযোগ পেল জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
Published: 15th, June 2025 GMT
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে জোর করে যেসব গুমের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তদন্তের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আসতে চাইছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)। এ জন্য তারা বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধও জানিয়েছে। তবে এক যুগ পর এবারই তারা প্রথম আসার সুযোগ পেয়েছে। আজ রোববার জাতিসংঘের গুম কমিটির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে।
বাংলাদেশ সফরকালে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব, গুমসংক্রান্ত কমিশনের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গুমের শিকার পরিবারগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি। এ ছাড়া তারা নীতিবিষয়ক আলোচনায়ও অংশ নেবে।
জানা গেছে, জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি এবার মূলত তদন্ত করতে আসেনি। তাদের মূল উদ্দেশ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা এবং তার ভিত্তিতে সুপারিশ করা।
গত এক যুগ ধরে গুম নিয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশে সফর করতে চাইছিল ডব্লিউজিইআইডি। তারা প্রথম ২০১৩ সালের ১২ মার্চ সফরের জন্য সরকারকে চিঠি দেয়। এরপর একাধিকবার বাংলাদেশ সফরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তখনকার সরকার তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। ডব্লিউজিইআইডি বাংলাদেশ সফরে বিগত সরকারের কাছে সর্বশেষ অনুরোধ করেছিল ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকার তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চার দিনের সফরে আজ ঢাকা এসেছে ডব্লিউজিইআইডির দুই সদস্যের এক কারিগরি প্রতিনিধিদল। সদস্য দুজন হলেন ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা এবং আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ। ১৮ জুন তাঁরা ঢাকা ছাড়বেন।
আরও পড়ুনগুম করা হতো তিনটি ধাপে ৬ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেই জাতিসংঘের গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জোর করে গুমের শিকার ব্যক্তিদের জন্য আন্তর্জাতিক ‘গুম প্রতিরোধ দিবস’–এর এক দিন আগে চুক্তিটি সই করে বাংলাদেশ। এর আগে বিশ্বের মোট ৭৫টি দেশ এ দলিলে সই করেছিল। আর ৭৬তম দেশ হিসেবে এটিতে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গুমবিরোধী সনদটি গৃহীত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের এই গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ ছিল। তবে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এ সনদে যুক্ত হওয়া নিয়ে বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এই সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে। অর্থাৎ এটি তাদের অভ্যন্তরীণ আইনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া ভারত শুধু এটি সই করেছে তবে অনুস্বাক্ষর করেনি।
আরও পড়ুনজাতিসংঘের তালিকায় গুমের শিকার হওয়া ৭৬ জন৩০ আগস্ট ২০২২ডব্লিউজিইআইডির সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনো ৭০টি গুমের ঘটনা নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় রয়েছে। জাতিসংঘ থেকে মোট ৮৮ জনের গুমের বিষয়ে প্রকৃত অবস্থা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ জন আটক অবস্থায় এবং ১০ জন মুক্ত অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুনগুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ২৭ আগস্ট ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ মব র ধ সরক র অবস থ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার