রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী মামুন ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আসামি গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে রোববার বেলায় এগারোটার দিকে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

বক্তব্য রাখেন, নিহত ব্যবসায়ী মামুন ভুঁইয়ার বড় ভাই আওলাদ হোসেন ভুট্টু, স্ত্রী ইমা আক্তার, মামলার বাদি বাদল ভুঁইয়াসহ আরো অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী টোকাই জাহিদুল ইসলাম বাবু। বাবু ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

গত ছয় দিন আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন খোকাকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ছাত্রদলের নামধারী টুকাই জাহিদুল ইসলাম বাবুসহ তার লোকজন এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে।

এ সময় ব্যবসায়ী মামুন ভূইয়াকে প্রকাশ্যে দিবালোকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত মামুনের ভাই বাদল ভুইয়া বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ব এনপ পর ব র ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ এল ক ব স ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ