নারীর সাথে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল!
Published: 20th, June 2025 GMT
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে তার সাথে এক নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। এই ঘটনার পর জেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
শুক্রবার (২০ জুন) সকালে প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ছবি ও টেলিগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করেন।
ফেসবুক ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “শরিয়তপুরের ডিসি মো.
এছাড়াও টেলিগ্রামে পোস্ট করা ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন শার্টের বোতাম খুলে বুক খোলা অবস্থায় লাল-হলুদ রঙের জামা ও সালোয়ার পরা এক নারীকে কোলে নিয়ে চুম্বন করছেন। এছাড়াও ভিডিটিওর মাঝেখানে রয়েছে মোবাইলের ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে তার বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হয়ে যোগদান করেন।
এর আগে তিনি ২৭ তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পূর্বে নিউরো ডেভলপমেন্ট, প্রতিবন্ধী ট্রাস্ট-এর পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “ডিসি তার সৎচরিত্র ধরে রাখতে পারেনি। জাওয়াদ নির্ঝর নামের এক প্রবাসী সাংবাদিক ডিসি এবং এক নারীর কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেছেন। তা থেকে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। ডিসির কাছ থেকে এধরণের কাজ কেউ প্রত্যাশা করে না। তার এমন অপ্রত্যাশিত ভিডিও বা ছবি ভাইরাল হবে এটা আমরা বা জনগণ কেউ প্রত্যাশা করে না।”
তবে এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে নাম্বারে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/আকাশ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’