Samakal:
2025-11-04@22:27:19 GMT

আর কবে পারবেন বিজয়

Published: 21st, June 2025 GMT

আর কবে পারবেন বিজয়

গলের ব্যাটিং স্বর্গেও রানের দেখা পেলেন না এনামুল হক বিজয়। রান অবশ্য আরও অনেকেই পাননি। বিজয়ের মতো এতটা যন্ত্রণাদায়ী ব্যাটিং সম্ভবত গত কয়েক বছরে লঙ্কান এ মাঠে কেউ করেনি। ব্যাটে বল লাগাতে পারছিলেন না, আত্মিবশ্বাসের সঙ্গে বল ছাড়তেও পারছিলেন না, বারে বারে খোঁচা মারছিলেন, পা তো বলের লাইনে যাচ্ছিলই না। টিকে থাকার জন্য টেলএন্ডারদেরও এতটা সংগ্রাম করতে দেখা যায় না। শেষ পর্যন্ত তাঁকে এ অবস্থা থেকে মুক্ত করেন প্রভাত জয়সুরিয়া। টেস্ট ক্যারিয়ার থেকেও কী মুক্ত হয়ে গেলেন বিজয়!

১৩ বছর আগে বিশাল এক আশার বেলুন ফুলিয়ে জাতীয় দলে আবির্ভাব ঘটেছিল বিজয়ের। এত হাঁকডাক দিয়ে আসা ব্যাটার এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে মাত্র ৭টি টেস্ট খেলেছেন। এত অল্প টেস্ট খেলার পেছনে অনেকেই তাঁর টেকনিক্যাল দুর্বলতার কথা বলেন। গলে প্রথম ইনিংসে ১০ বল খেলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আসার পরই তাঁকে টেস্টে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ বলে ৪ রান করে ক্যাচ দিয়ে সে প্রশ্নকে আরও জোরালো করলেন তিনি।

অবশ্য বিজয়ের কী দোষ? ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট প্রিমিয়ার লিগে ভালো করেছিলেন তিনি। এর পুরস্কার হিসেবে নির্বাচকরা তাঁকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ডেকে বসলেন। তিন বছর পর ফিরে টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংসটা খেলে ফেলেন চট্টগ্রামে। তাতেই শ্রীলঙ্কা সফরের লিস্টে নাম উঠে যায়। কিন্তু লাল বলে তিনি যে স্বচ্ছন্দ না এবং ব্যাটিংয়ের সময় তাঁর পা যে নড়াচড়া করে না সেটি শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুতেই নগ্নভাবে আবারও বেরিয়ে এলো। 

তাঁর এই দুবর্লতা মোটেই নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালে তাঁর ওয়ানডে অভিষেক হলেও টেস্টে সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল না এই দুবর্লতার জন্য। বছরখানেক পর তাঁকে টেস্টে নেওয়া হলেও বিরতি দিয়ে চার টেস্ট খেলানোর পর ২০১৪ সাল থেকে লম্বা সময়ের জন্য এই ফরম্যাট থেকে বাদ ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে ৮ বছর পর দলে ফিরে উইন্ডিজে আবার সেই একই দুর্বলতা দেখা গেলে এক টেস্ট খেলিয়ে আবার তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। তিন বছর পর আবার ফেরানো হলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিজয় যে সাদা বলের ব্যাটার সেটি নির্বাচক কবে বুঝবেন?

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লিভারপুলের আর্জেন্টাইন হেডে ‘ভাঙল’ রিয়ালের কোর্তোয়া-দেয়াল

লিভারপুল ১-০ রিয়াল মাদ্রিদ

কিছু খেলোয়াড়ের জন্মই হয় বড় মঞ্চের জন্য। থিবো কোর্তোয়া কোন কাতারে পড়েন তা অনেকেরই জানা। বিশেষ করে লিভারপুল সমর্থকদের। তিন বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল এত দ্রুত ভোলার কথা নয়।

সেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে আজ ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোর্তোয়ার নামের পাশে সেভ লেখা ৬টি! তবু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬১ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের হেড বেলজিয়ান এই গোলকিপার আর ফেরাতে পারেননি। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের গোলই শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লিভারপুলকে এনে দেয় ১-০ গোলের জয়।

গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল আসলে কোর্তোয়া বনাম লিভারপুল। প্রথমার্ধেই চারটি দারুণ সেভ করেন। দুই অর্ধ মিলিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাইয়ের একাধিক শট ফেরান কোর্তোয়া। ম্যাচের শেষ দিকেও নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।

৮৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সালাহর শট বক্সে পেয়ে যান ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। খুব কাছ থেকে তাঁর শট প্রথমে ঠেকান কোর্তোয়া। ফিরতি বলে সালাহর শট ফেরান রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও।

প্রথমার্ধেও রিয়ালের এমন একটি নিশ্চিত গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। ২৭ মিনিটে লিভারপুলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টৎসের ক্রস রিয়ালের গোলপোস্টের সামনে পান সোবোসলাই। তাঁর শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ডান পা দিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিভারপুলের গোলকিপার গিওর্গিও মামারদাশভিলির একবার পরীক্ষা নিতে পারে রিয়াল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জুড বেলিংহামের শট পা দিয়ে ঠেকান।

রিয়াল গোল হজম করেছে বেলিংহামের ভুলেই। ৬১ মিনিটে গ্রাভেনবার্চকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার। ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। সেখান থেকে সোবোসলাইয়ের মাপা শটে হেডে গোল করেন ম্যাক-অ্যালিস্টার।

বিস্তারিত আসছে…।

সম্পর্কিত নিবন্ধ