গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একজনের অজান্তেই তাঁকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
না চাইতেই পদ পাওয়া তরুণের নাম রাজ তালুকদার। তিনি বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আনিছ তালুকদারের ছেলে। এ বছর বাঁশবাড়িয়া ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি।
জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব কমিটির অনুমোদন দেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন ও সদস্য সচিব আব্দু্র রহিম।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজ তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করে অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে তাঁকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। রাজ তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রদলের কমিটি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিলাম না। এখনও নেই। বিষয়টি ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ককে জানিয়েছি।’
এদিকে রাজের পোস্টটি স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজের এমন ফেসবুক পোস্টে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অনেকেই ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন জানান, রাজ নামের ছেলেটি ছাত্রদলের কমিটিতে আসার জন্য তাঁর কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন। হঠাৎ তাঁর (রাজ) এই কর্মকাণ্ড তাঁকে অবাক করেছে। দলের হাই কমান্ডের সঙ্গে কথা বলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ছ ত রদল র আহ ব য ক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার ২টি মামলার রায় হওয়া উচিত ছিল: এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “দেশের বিচার ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী ও দৃশ্যমান করতে হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০-২০০ মামলা হয়েছে, অথচ একটি মামলারও রায় হয়নি। অন্তত দুইটি মামলার রায় হওয়া উচিত ছিল।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় র্যালি শেষে চন্দ্রগঞ্জে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, “বাংলাদেশে জুলুম-নির্যাতনের স্থান হবে না। খুনের বিচার করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
অর্থনীতিকে চাঁঙ্গা করতে দ্রুত নির্বাচন দরকার: আযম খান
তিনি বলেন, “এ দেশের জনগণ বীরের জাতি। তারা অতীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছে।”
এ্যানি বলেন, “আমরা ১৭ বছর রাজপথে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। দেশে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব। এজন্য এখন প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।”
র্যালিতে অংশ নেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিুবুর রহমান হাসিব, সদর থানা বিএনরি আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুন।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ