বই আর গাছ বিলানো মাহমুদুল পাচ্ছেন জাতীয় পরিবেশ পদক
Published: 21st, June 2025 GMT
সাইকেলের সামনের ঝুড়িতে কয়েকটি বই আর হ্যান্ডেলে ঝোলানো ব্যাগে গাছের চারা—এই নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছুটে বেড়ান মাহমুদুল ইসলাম। চারা বিতরণের পাশাপাশি শিশুদের নিয়ে বসান পাঠের আসর। কখনো পরিষ্কার করছেন মাছ-মাংস বাজারের ময়লা, কখনো সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া কুকুর-বিড়ালকে সড়ক থেকে সরিয়ে মাটিচাপা দিচ্ছেন, কখনো কুড়াচ্ছেন পড়ে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ, আবার কখনো সড়কের ধারের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার পাশাপাশি অপসারণ করছেন সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানি। প্রায় এক যুগ ধরে প্রতিদিন কাজগুলো করে যাচ্ছেন ৩৫ বছরের এই তরুণ।
২০১৩ সালে শুরু। রংপুরের কারমাইকেল কলেজে তখন বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়েন মাহমুদুল ইসলাম। মা-বাবার পাঠানো টাকা থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে নানা জাতের ফলদ আর বনজ গাছের চারা কেনেন। ছুটিতে তেঁতুলিয়ায় যাওয়ার সময় রংপুর থেকে সেসব নিয়ে যান। বাড়ির আশপাশে লাগান। একসময় নিজের গণ্ডি ছাড়িয়ে পুরো গ্রামকে নিয়েই ভাবতে থাকেন মাহমুদুল। নিজের টাকায় কেনা গাছের চারা স্থানীয়দের মধ্যে বিতরণ শুরু করেন। প্রিয় সাইকেলটি নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গাছের চারা বিতরণ শুরু করেন। পাশাপাশি দেন বই। পড়া শেষ হয়ে গেলে বদলে আবার অন্য বই দেন।
সড়কের ধারের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার কাজেও দেখা যায় মাহমুদুল ইসলামকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লিভারপুলের আর্জেন্টাইন হেডে ‘ভাঙল’ রিয়ালের কোর্তোয়া-দেয়াল
লিভারপুল ১-০ রিয়াল মাদ্রিদ
কিছু খেলোয়াড়ের জন্মই হয় বড় মঞ্চের জন্য। থিবো কোর্তোয়া কোন কাতারে পড়েন তা অনেকেরই জানা। বিশেষ করে লিভারপুল সমর্থকদের। তিন বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল এত দ্রুত ভোলার কথা নয়।
সেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে আজ ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোর্তোয়ার নামের পাশে সেভ লেখা ৬টি! তবু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬১ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের হেড বেলজিয়ান এই গোলকিপার আর ফেরাতে পারেননি। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের গোলই শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লিভারপুলকে এনে দেয় ১-০ গোলের জয়।
গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল আসলে কোর্তোয়া বনাম লিভারপুল। প্রথমার্ধেই চারটি দারুণ সেভ করেন। দুই অর্ধ মিলিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাইয়ের একাধিক শট ফেরান কোর্তোয়া। ম্যাচের শেষ দিকেও নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।
৮৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সালাহর শট বক্সে পেয়ে যান ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। খুব কাছ থেকে তাঁর শট প্রথমে ঠেকান কোর্তোয়া। ফিরতি বলে সালাহর শট ফেরান রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও।
প্রথমার্ধেও রিয়ালের এমন একটি নিশ্চিত গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। ২৭ মিনিটে লিভারপুলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টৎসের ক্রস রিয়ালের গোলপোস্টের সামনে পান সোবোসলাই। তাঁর শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ডান পা দিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিভারপুলের গোলকিপার গিওর্গিও মামারদাশভিলির একবার পরীক্ষা নিতে পারে রিয়াল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জুড বেলিংহামের শট পা দিয়ে ঠেকান।
রিয়াল গোল হজম করেছে বেলিংহামের ভুলেই। ৬১ মিনিটে গ্রাভেনবার্চকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার। ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। সেখান থেকে সোবোসলাইয়ের মাপা শটে হেডে গোল করেন ম্যাক-অ্যালিস্টার।
বিস্তারিত আসছে…।