বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহামুদুল হককে গণঅভ্যুত্থানে মারা যাওয়া ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তার মুক্তি দাবি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

শনিবার (২১ জুন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড.

মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

‎বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহমুদুল হককে যেভাবে একটি হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।’

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক মামুন রেজার মৃত্যুতে বিপিসির শোক

সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির ২০ বছর পর আত্মসমর্পণ 

‎তারা আরো বলেন, "মাহমুদুল হক সাংবাদিকতা পেশায় সুনামের সাথে কাজ করেছেন এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের একজন ব্যক্তির পক্ষে প্রকাশ্য সড়কে হত্যাকাণ্ডে জড়ানো কল্পনাতীত। মামলায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো ঘটনা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’

‎বিভাগীয় শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানান এবং মাহমুদুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।

ঢাকা/‎সাজ্জাদুর/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র গণয গ য গ ও স ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

ঘরের চালে ঢিল ছোড়া নিয়ে বিরোধ, মীমাংসার পর মারামারিতে প্রাণ গেল একজনের

বসতঘরের চালে ঢিল ছোড়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু। আজ শুক্রবার সকালে দুই পক্ষের এ বিরোধ মীমাংসায় বসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশ সদস্যরা। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরের দিকে মারামারিতে জড়ায় উভয় পক্ষ। এতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন তিনজন।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে আজ দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সেজাউল ইসলাম ওরফে কালা মিয়া (৩৫)। তিনি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম ও প্রতিবেশী আবদুল মতিনের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। উভয় পরিবারের ঘর পাশাপাশি। সপ্তাহখানেক আগে থেকে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে, রাতের বেলা এক পক্ষ আরেক পক্ষের ঘরে চালে ঢিল ছুড়ছে। স্থানীয় লোকজন এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। বিষয়টি থানার পুলিশকেও জানানো হয়। পরে আজ সকালে এ বিরোধ মীমাংসায় বসেন গ্রামটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মালিক। তিনি জানান, তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। আজ সকালে তাদের নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। তখন থানা থেকে তিনজন পুলিশ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তাঁরা উপজেলা সদরে চলে আসেন। পরে জেনেছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে একজন মারাও গেছেন।

নিহত সেজাউল ইসলাম কামরুল ইসলামের ভাই বলে জানিয়েছেন জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাকসুতে দুঃখ ঘোচাতে চায় ছাত্রদল, জয় ধরে রাখতে মরিয়া শিবির
  • শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব
  • চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার
  • অনুমতি ছাড়াই মেটার বিজ্ঞাপনে স্কুলশিক্ষার্থীদের ছবি
  • নরসিংদীতে ব্রহ্মপুত্র থেকে পাঁচ মামলার আসামির লাশ উদ্ধার
  • মুসলিম বিশ্বে জ্ঞানচর্চার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার উপায়
  • তামান্না কী আধ্যাত্মিক মানুষ?
  • চাকসু নির্বাচন: প্যানেলে ভিপি-জিএস পদে নারী শুধু একজন
  • সুনামগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ঘরের চালে ঢিল ছোড়া নিয়ে বিরোধ, মীমাংসার পর মারামারিতে প্রাণ গেল একজনের