বিএনপি ক্ষমতায় এলে আলীরটেকে ব্রীজ হবে : আনিসুল ইসলাম সানি
Published: 21st, June 2025 GMT
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম সানি বলেছেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারায়ণগঞ্জের আলীরটেকে ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
শনিবার (২১ জুন) আলীরটেকে জাসাসের ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম সানি আরও বলেন, এই আলীরটেক বিএনপির ঘাঁটি। যতবারই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, এই এলাকার জনগণ বিএনপিকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়েছে।" তিনি উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার জন্য জনগণের মন জয়ের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.
এছাড়াও, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. জুলহাস, সহ-সভাপতি জামাল সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন এবং বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলীরটেক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. শরীফ সরদার, মহানগর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধন হোসেন, জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, সদর থানা জাসাসের সভাপতি জিকু খাঁন, সাধারণ সম্পাদক এড. গালিব, এবং জেলা জাসাসের দপ্তর সম্পাদক হালিম মুসা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল ইসলাম সানি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সমাজের ভালো কাজে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে আলীরটেকের উন্নয়নে তারা বিশেষ নজর দেবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ক ষমত য় ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর
দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরো ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সেনাসদরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান।
আরো পড়ুন:
‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
তিনি বলেন, “দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে। আমরা আশা করি নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরো ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আারো স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তখন সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান আরো বলেন, “সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যেটুকু রূপরেখা প্রণয়ন করেছে সেটার ওপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমাদের যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত আকারে চলছে তার মধ্যে নির্বাচনের সময় আমাদের কী করণীয় সেটাকে ফোকাসে রেখেই প্রশিক্ষণ করছি।”
তিনি আরো বলেন, “প্রশিক্ষণের সঙ্গে একটি বিষয় সম্পর্কিত তা হলো শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমরা বলে থাকি ‘উই ট্রেইন এজ উই ফাইট'।”
গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বাইরে আছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, “নির্বাচন পর্যন্ত বা তার কিছুটা পরেও যদি বাইরে থাকতে হয় তাহলে আরো কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে। এতে করে আমাদের প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, “এর পাশাপাশি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ১৫ মাস যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী, এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেস করেনি। এজন্য আমরাও চাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারি।”
গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহয়তায় নিয়জিত আছে এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এই ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে,” বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ