জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম সানি বলেছেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারায়ণগঞ্জের আলীরটেকে ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।

শনিবার (২১ জুন) আলীরটেকে জাসাসের ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম সানি আরও বলেন, এই আলীরটেক বিএনপির ঘাঁটি। যতবারই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, এই এলাকার জনগণ বিএনপিকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়েছে।" তিনি উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার জন্য জনগণের মন জয়ের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.

সরকার হুমায়ুন কবির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাসের সভাপতি মো. স্বপন চৌধুরী, মহানগর জাসাসের সহ-সভাপতি ড. এম এ লতিফ, এ হাসান শিমুল, আবছুল আহসান রোমানী, এড. সাকিমুল হাসান, এড. মোস্তাফিজুর রহমান, মতিউর রহমান ও এ.ও. শেখ মহসিন মিয়া।

এছাড়াও, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. জুলহাস, সহ-সভাপতি জামাল সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন এবং বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলীরটেক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. শরীফ সরদার, মহানগর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধন হোসেন, জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, সদর থানা জাসাসের সভাপতি জিকু খাঁন, সাধারণ সম্পাদক এড. গালিব, এবং জেলা জাসাসের দপ্তর সম্পাদক হালিম মুসা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুল ইসলাম সানি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সমাজের ভালো কাজে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে আলীরটেকের উন্নয়নে তারা বিশেষ নজর দেবেন।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ক ষমত য় ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বাষির্কী উপলক্ষ্যে পূর্ব কর্মসূ‌চির অংশ হি‌সে‌বে রাজধানী‌তে গণ‌মি‌ছিল ‌বের ক‌রে বাংলা‌দেশ জামায়া‌তে ইসলামী।

মঙ্গলবার মহাখালী রেলগেট থেকে শুরু হয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় এসে মহানগরী আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের  বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। এর আ‌গে সকাল ১০টায় মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে এক সং‌ক্ষিপ্ত সমা‌বেশ অনু‌ষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছি‌লেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তি‌নি বলেন, ‘‘জনগণের রক্তের ওপর দিয়েই জুলাই বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই আপনি এখন ক্ষমতায়। আপনি বা আপনার পরিবারের কোনো সদস্য আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তাই নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ঘোষণা করলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে। আর দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে তারা আপনাকে ছাড়বে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।’’

প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পিআর পদ্ধ‌তিতে নির্বাচন দা‌বি ক‌রে ডাক্তার তা‌হের ব‌লেন, ‘‘গতানুগতিক পদ্ধতির নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য সুফল বয়ে আনবে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রায় সকল নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। বিশেষ করে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনসহ শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনই নির্বাচন ছিল না। এসব নির্বাচনে ব্যাপকভিত্তিক রিগিং, গণহারে সিল মারা, কেন্দ্র দখল, ডামি নির্বাচন, ব্যালট ছিনতাই, দিনের ভোট রাতে করাসহ ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত, এসব ছিল নির্বাচনের নামে প্রহসন। তাই দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি তথা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে হবে। এ পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অপরাধ থাকবে না, ভোট চুরি ও কেন্দ্রদখল হবে না। থাকবে না টাকার খেলা।’’

মূলত, যাদের প্রয়োজনীয় জনসমর্থন নেই তারাই এ পদ্ধতির বিরোধীতা করছেন। তারা মাস্তানী ও অর্থের বিনিময়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান। কিন্তু জনগণ তাদের সে সুযোগ দেবে না। পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি তারা মেনে নেবে না ব‌লেও জানান তি‌নি।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা: ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো: আতাউর রহমান সরকার এবং ঢাকা মহনগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন প্রমুখ।

ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘‘আগামীর বাংলাদেশ হবে ইনসাফ ও ইসলামের বাংলাদেশ। যেখানে সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।’’ তিনি গণহত্যাকারীদের বিচার এবং পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। কিন্তু সে সনদে জনপ্রত্যাশার বাইরে কিছু থাকলে তা দেশপ্রেমী জনতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। শুধু ঘোষণা নয় বরং তা নির্বাচনের আগেই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। নির্বাচন হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতেই। নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। চাই প্রয়োজনীয় সংস্কারও। অন্যথায় অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’’

ঢাকা/নঈমুদ্দীন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ: সেলিমা রহমান
  • জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জাতীয় পার্টির
  • প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
  • গতানুগতিক পদ্ধতির নির্বাচন কোনো সুফল বয়ে আনবে না: তাহের
  • বিএনপির সাংবাদিক হওয়ার দরকার নেই, জনগণের সাংবাদিক হোন: আমীর খসরু
  • জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের দোদুল্যমানতা কেটে গেছে: সালাহউদ্দিন
  • জুলাই আন্দোলন কোনো সমাপ্তি নয়, শুরু মাত্র: আসিফ মাহমুদ
  • ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার তারুণ্যের বিজয় যাত্রা অনুষ্ঠিত
  • ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’
  • নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নবীগঞ্জ এলাকায় মাও. মঈনুদ্দি’র গণসংযোগ