নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের কোনো দোসর যেনো সদস্য হতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে। আমাদের এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সেই সব দোসররা যেনো সদস্য হতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন।

এক্ষেত্রে ইউনিট প্রধানরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। যদি ফ্যাসিবাদের কোনো দোসর সদস্য হয়, সেটা যদি জানতে পারি তাহলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফতুল্লা থানা বিএনপির আওতাধীন সাংগঠনিক এলাকাগুলোতে বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (২১ জুন) বিকেলে পাগলা এলাকার সিসিলি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

মামুন মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপি অনেক বড় দল। এই দলে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন সংসদ নির্বাচন করার মতো। তবে তিনি সকলের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। চূড়ান্তভাবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমাদের সবার উচিত তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। সে পর্যন্ত কেউ যেনো দলে বিভেদ সৃষ্টি না করি। যদি কেউ বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা বিএনপির সদস্য নাদিম হাসান মিঠু এবং একরামুল কবীর মামুন।

এই সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি তাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার বার্তা দিচ্ছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ সেলিমের ৩৫ ব্যাংক হিসাব ও ২৩ বিও হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর ২৩টি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশও দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন বুধবার রাতে এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে বলা হয়, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে–বিদেশে বিপুল পরিমাণ স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। একই সঙ্গে দুদক শেখ সেলিমের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব ও ২৩টি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর এসব হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়। ব্যাংক হিসাব জব্দের এ তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন শেখ সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা সেলিম, তাঁর ছেলে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাইম এবং মেয়ে শেখ আমিনা সুলতানা সনিয়া।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বুধবার ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠায়।

বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাঁদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২০ আগস্ট শেখ সেলিম, তাঁর ছেলে ফজলে ফাহিমসহ পরিবারের সবার ব্যাংক হিসাব তলব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অনেক মন্ত্রী-এমপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ