ফ্যাসিবাদের কোনো দোসর সদস্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে : মামুন মাহমুদ
Published: 21st, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের কোনো দোসর যেনো সদস্য হতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে। আমাদের এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সেই সব দোসররা যেনো সদস্য হতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন।
এক্ষেত্রে ইউনিট প্রধানরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। যদি ফ্যাসিবাদের কোনো দোসর সদস্য হয়, সেটা যদি জানতে পারি তাহলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফতুল্লা থানা বিএনপির আওতাধীন সাংগঠনিক এলাকাগুলোতে বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (২১ জুন) বিকেলে পাগলা এলাকার সিসিলি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
মামুন মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপি অনেক বড় দল। এই দলে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন সংসদ নির্বাচন করার মতো। তবে তিনি সকলের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। চূড়ান্তভাবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমাদের সবার উচিত তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। সে পর্যন্ত কেউ যেনো দলে বিভেদ সৃষ্টি না করি। যদি কেউ বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা বিএনপির সদস্য নাদিম হাসান মিঠু এবং একরামুল কবীর মামুন।
এই সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি তাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার বার্তা দিচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ে গঠিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ মঞ্চের নেতারা।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তাঁরা।
এই তফসিলের নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে এ তফসিল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চের নেতারা বলেন, পরীক্ষা শেষ হলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না। অন্যদিকে একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঈদেও বাড়ি যায় না, তাঁদের ছুটি থাকে না। ছাত্রশিবিরকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ সময় ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চ আরও দুটি দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে।