সরাসরি: ‘আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না’
Published: 22nd, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পর ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্যরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
রবিবার (২২ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিব বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হামলার আদেশ কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমেরিকার জনগণ আর কোনো অন্তহীন যুদ্ধ চায় না। আমরা দেখেছি, মধ্যপ্রাচ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা যুদ্ধ আমাদের কোথায় নিয়ে গেছে—সবই ‘ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের’ মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে। আমরা আর সেই ফাঁদে পড়ব না।”
তিনি আরো বলেন, “জনগণের কথা না শুনে ট্রাম্প ‘যুদ্ধাপরাধী’ নেতানিয়াহুর কথা শুনছেন—যিনি ইরাক নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন এবং এখন ইরান নিয়েও মিথ্যা বলছেন। কংগ্রেসকে অবিলম্বে যুদ্ধ বিষয়ক সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই অবৈধ যুদ্ধ থামাতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের হামলা গণতন্ত্র ও সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থি।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিআরেরও দু–একটা সাইড এফেক্ট আছে, কিন্তু অধিকাংশই ভালো দিক: ইসলামী আন্দোলন
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন প্রশ্নে গণভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, জনগণ যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না চায়, তাহলে ইসলামী আন্দোলন এ পদ্ধতির দাবি আর করবে না।
সৈয়দ ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘পিআরের বিপক্ষে কিছু নাই, তাই বলব না। কেউ ওষুধ যখন সেবন করে, সেখানে লেখা থাকে—এর সাইড এফেক্ট (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া) আছে। পিআরের ব্যাপারেও দু–একটা সাইড এফেক্ট আছে। কিন্তু এর অধিকাংশই ভালো দিক।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিলের আগে এক সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির। ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাঁবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আজাদ প্রোডাক্টসের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় দাবি করে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, জনগণ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের উপকারটা কী, তা জেনে গেছে। জরিপে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ জনগণ পিআরের পক্ষে।
পিআর সিস্টেম নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আপত্তি থাকার কথা নয় মন্তব্য করে সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একজন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন, ৯০ শতাংশ ভোট নাকি তাদের। যদি ৯০ শতাংশ ভোট তাদের হয়, তাহলে তারা আসন পাবে ২৭০টির বেশি। তাতে তাদের সরকার গঠন করতে সমস্যা কোথায়? তারা ঝামেলামুক্ত সরকার গঠন করতে পারবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, তিনি (তারেক রহমান) বলেছেন, তাঁরা জাতীয় সরকার গঠন করবেন। সবার সম্মিলিত যে সরকার, সেটাই তো জাতীয় সরকার। পিআর পদ্ধতিতেই সব দলের, মতের ও আদর্শের মানুষজন সংসদে যাবে। সুতরাং বিএনপির বক্তব্য অনুযায়ী তো পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রয়োজন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে কোনোভাবেই গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এ দেশের মুসলমানদের ট্যাক্সের (কর) পয়সা দিয়ে গানের শিক্ষকের প্রয়োজন নেই। সেখানে ইংরেজি শিক্ষক দেন, কম্পিউটার শিক্ষক দেন।