ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদুল আবেদীন তানভীর বলেন, আজ সাড়ে ১০টার সময় অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে কলেজ প্রশাসন থেকে স্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তাই, আমরা হল ত্যাগ করছি না। 

আবাসন সংকট সমাধানে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি, আগামীকাল সোমবার ১২ টার মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ ও মন্ত্রণালয় টিম এসে ঝুঁকিপূর্ণ হলের অবস্থা পরিদর্শন করবেন। তা না হলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর থেকে কঠোরতর হবে বলে। 

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা.

কামরুল আলম সমকালকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানদের মতো। আমরা আশা করি, নিরাপত্তার স্বার্থে তারা হলে ছাড়বে, আমরা কার্যক্রম চালু করবো। আজ না হলেও কাল তাদের এটা বুঝাতে সক্ষম হবো।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ

এছাড়াও পড়ুন:

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ১০ হাজার কোটি টাকা

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়েছে উপদেষ্ট পরিষদ।

রবিবার (২২ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে গত ২ জুন টেলিভিশন ভাষণের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা। প্রস্তাবিত বাজেটের তিনটি জায়গায় পরিবর্তন করে বাজেট পাশ করা হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

আরো পড়ুন:

বাজেটের ত্রুটি সংশোধনের আহ্বান

নির্দেশনামূলক বাজেট দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব‍্যর্থ: এবি পার্টি

তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৮১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৯১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা করে বাজেট পাশ করা হয়েছে। এতে এই খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।”

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষমাত্রা মাত্রা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ধরেছি। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।”

এর আগে গত ২ জুন সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অর্থ উপদেষ্টা যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থান করেন সেখানে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা। ৪ হাজার কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধারা হয়।

এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশি ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এতে নীট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯৬ হাজার কোটি টাকা।

আর অভ্যান্তরীণ ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২১ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ১ লাখ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২২ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যাতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে আবর্তক ব্যয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। আর দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এবার মূলধন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।

বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্কিমে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (এডিপি বহির্ভূত) ও স্থানান্তরে ২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
 

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ