‘মুক্তিপণ’ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, খাল মিলল মরদেহ
Published: 22nd, June 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপহরণ হওয়া সাত বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) ভোরে লেদা খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করে লেদা খালের পানিতে ফেলে দেয়।
মারা যাওয়া শিশুর নাম আব্দুল্লাহ। সে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৪ এর ব্লক-সি/০৫ এর বাসিন্দা হামিদ হোসেনের ছেলে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আব্দুল্লাহ খেলতে বের হয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। একই দিন সন্ধ্যার পর অজ্ঞাত নম্বর থেকে শিশুটির বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না দিলে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
আরো পড়ুন:
ঘিওরে ভাবিকে হত্যার অভিযোগে দেবর গ্রেপ্তার
মায়ের মৃত্যুর খবরে দেশে আসা প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যা
তিনি আরো জানান, মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে হত্যা করে লেদা খালের পানিতে ফেলে দেওয়া দিয়েছে অপহরণকারীরা বলে অভিযোগ রয়েছে। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্প-২৪ এর ব্লক-এ/০৫ সংলগ্ন লেদা খালের পানিতে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় রোহিঙ্গারা নিহতের পরিবারকে খবর দেন। পরে পরিবার লাশ শনাক্ত করে নিজ শেডের সামনে নিয়ে যায়।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ অপহরণ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার দাবি
দেবিদ্বারে সমাজসেবক ও চিকিৎসক এটিএম আব্দুর রহমান তাহেরের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়েছে।
গৃহবধূকে অপহরণ মামলায় গত ১৬ জুন এটিএম আব্দুর রহমান তাহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে এখনও উদ্ধার হয়নি ভুক্তভোগী নারী।
তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের মামলাটিকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন মানববন্ধনকারীরা। তারা বলেন, ‘গরিবের চিকিৎসক’ খ্যাত ডা. তাহের দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা, দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আসছেন। তার সামাজিক কর্মকাণ্ড ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল হয়রানির উদ্দেশ্যে ‘মিথ্যা’ মামলা করেছে। অবিলম্বে ডা. আব্দুর রহমান তাহেরের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কুমিল্লা সম্মিলিত হোমিওপ্যাথি ডক্টরস ফোরামের সদস্য ডা. মনির হোসেন, ডা. জিয়াউল হক, ডা. দেলোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শারমিন প্রমুখ।
তবে মামলার বাদী জানান, তার স্ত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন আবদুর রহমান। ১১ জুন সকালে কয়েকজন সহযোগী সঙ্গে নিয়ে তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে।
থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, অভিযোগ পেয়ে আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গত ১৬ জুন আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।