কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপহরণ হওয়া সাত বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) ভোরে লেদা খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করে লেদা খালের পানিতে ফেলে দেয়। 

মারা যাওয়া শিশুর নাম আব্দুল্লাহ। সে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৪ এর ব্লক-সি/০৫ এর বাসিন্দা হামিদ হোসেনের ছেলে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আব্দুল্লাহ খেলতে বের হয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। একই দিন সন্ধ্যার পর অজ্ঞাত নম্বর থেকে শিশুটির বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না দিলে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।

আরো পড়ুন:

ঘিওরে ভাবিকে হত্যার অভিযোগে দেবর গ্রেপ্তার

মায়ের মৃত্যুর খবরে দেশে আসা প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যা

তিনি আরো জানান, মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে হত্যা করে লেদা খালের পানিতে ফেলে দেওয়া দিয়েছে অপহরণকারীরা বলে অভিযোগ রয়েছে। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্প-২৪ এর ব্লক-এ/০৫ সংলগ্ন লেদা খালের পানিতে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় রোহিঙ্গারা নিহতের পরিবারকে খবর দেন। পরে পরিবার লাশ শনাক্ত করে নিজ শেডের সামনে নিয়ে যায়।

ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। 

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ অপহরণ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমে সাড়া না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, আড়াই মাস পর উদ্ধার

প্রেমে সাড়া না পেয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করেন এক তরুণ। এ ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর আজ বুধবার ভোরে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। পাশাপাশি অভিযুক্ত মুস্তাকিন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মুস্তাকিন মিয়ার বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় দেন আদালত।

অভিযোগ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মুস্তাকিন মিয়া ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণ ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত ১৩ মে বেলা একটার দিকে ওই কিশোরী এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন মুস্তাকিন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ১৮ মে নবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০)–এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন।

এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯-এর হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল আজ ভোরে জেলার বাহুবল উপজেলা সদরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুস্তাকিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেন যে তিনি ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছেন। যদিও আইনগত কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।

র‍্যাব-৯-এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল ইসলাম মুস্তাকিন মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেমে সাড়া না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, আড়াই মাস পর উদ্ধার