স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হল পরিদর্শনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ হলে এসে অবকাঠামো দেখার কথা বলেছেন তারা। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনের প্রতিনিধি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান এসব কথা জানান।

গত ২৮ মে থেকে আবাসন সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢামেক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গত ৬ জুন থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেন। এর মধ্যে শনিবার কলেজ প্রশাসন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের পাঁচ দফা দাবির অগ্রগতি জানতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীরা জানতে চান, হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে। উত্তরে কর্তৃপক্ষ হল ছাড়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে। তবে শিক্ষার্থীরা নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান আন্দোলনের সময় তারা হলে অবস্থান করবেন।

তিনি বলেন, পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে বৈঠকে কোনো সুস্পষ্ট আশ্বাস দেওয়া হয়নি। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হল সংস্কার এবং নতুন হল তৈরির দাবি জানানো হলেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

নোমান আরও বলেন, দাবি উপেক্ষিত হলে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শুরু হওয়া এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো– নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস; আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করা; আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত দৃশ্যমান বাস্তবায়ন; সব প্রকল্প ও কার্যক্রমে স্বচ্ছতার জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়োগ করা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

গাইবান্ধায় এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বাগদা বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূর শিউলি বেগম (৩৫)। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ এলাকার শরীফ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ফরিদ উদ্দিন (৪৫) পলাতক।

পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে বাগদা বাজার এলাকার ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে বোগদহ এলাকার শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলিকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। গতকাল সন্ধ্যায় ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলিকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। রাত ৯টার দিকে বাগদা বাজার এলাকার বাড়ির পাশে কলাবাগানে শিউলির লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত শিউলির বাবা শরীফ মিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলিকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছেন ফরিদ।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, নিহত নারীর গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ