শরীয়তপুরে সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
Published: 24th, June 2025 GMT
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে চলাকালে এক রোগীর কাছে চিকিৎসকের চিকিৎসার জন্য টাকা দাবিসহ বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, দালালদের দৌরাত্ম্য এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অভিযোগ উঠে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এক রোগীর কাছে টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। একইসঙ্গে এক রোগীর কাছ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য
যশোরে করোনায় একজনের মৃত্যু
এছাড়া হাসপাতালের রন্ধনশালায় রোগীদের জন্য বরাদ্দ মিনিকেটে চালের পরিবর্তে কমমূল্যের মোটা চাল ব্যবহারের সত্যতা পায় দুদক।
অনিয়মের উঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে দুদক। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সময় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুম এক রোগীর কাছে টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া খাদ্যে নিম্নমানের চাল ব্যবহারের বিষয়টি গুরুতর। এসব অভিযোগ যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/আকাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক র গ র ক ছ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’