বাবার ‘আলটিমেটাম’ নিয়ে দলে, ৯ নম্বরে নেমে করলেন সেঞ্চুরি
Published: 25th, June 2025 GMT
ব্যাট করতে নামলেন ৯ নম্বরে। শুরুটা করলেন দেখেশুনে। তবে হঠাৎই হয়ে উঠলেন বিস্ফোরক। চার–ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে করে ফেললেন সেঞ্চুরি, দলও ৫০ ওভারের ম্যাচে পেয়ে গেল প্রায় সাড়ে চার শ রানের সংগ্রহ। ব্যাটসম্যানের নাম হারভানাশ সিং, দলের নাম ভারত অনূর্ধ্ব–১৯।
২৭ জুন থেকে ইংল্যান্ডে পাঁচটি যুব ওয়ানডে খেলবে ভারত ও ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব–১৯ দল। ওই সিরিজের প্রস্তুতিতে গতকাল লাফবোরোতে ৯ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন হারভানাশ। গুজরাট থেকে উঠে আসা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ভারতের যুব দলে খেলছেনই বাবার ‘আলটিমেটাম’ সঙ্গী করে।
হারভানাশের বাবা দামানদ্বীপ সিং আর চাচা কুনারজিৎ সিং ছিলেন ক্রিকেটার। ক্যারিয়ারটা অবশ্য তাঁদের খুব বেশি দূর এগিয়ে যায়নি। এখন কানাডায় ট্রাক ড্রাইভারের কাজ করেন দামানদ্বীপ। কানাডায় ক্রিকেট খেললে সহজে জাতীয় দলে পৌঁছে যাওয়া যাবে—এমন ভাবনায় ছেলেকেও সেখানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন দামানদ্বীপ। কিন্তু হারভানাশের ভাবনা ছিল ভিন্ন, ক্রিকেট খেললে ভারতের হয়েই খেলবেন। যে কারণে মায়ের সঙ্গে ভারতেই থেকে যান যুবরাজ সিংকে আদর্শ মানা এই ক্রিকেটার।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, হারভানাশকে ভারতের ক্রিকেটে সফল হতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বাবা দামানদ্বীপ। অনূর্ধ্ব–১৯ দলে সুযোগ না পেলেই ব্যাগ গুছিয়ে তাঁকে কানাডা চলে যেতে হবে। হারভানাশ এখন শুধু ভারতের যুব দলে নামই লেখাননি, ৯ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করে হইচইও ফেলে দিয়েছেন।
বাবার সঙ্গে হারভানাস সিং।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ম নদ ব প
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মেট্রোস্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া
ঢাকার উত্তরায় উত্তরা সেন্টার ও বিজয় সরণির মেট্রোরেল স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ–সংক্রান্ত মহড়া করেছে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার সকালে উত্তরা সেন্টারে ও বেলা তিনটায় বিজয় সরণি মেট্রোস্টেশনে এ মহড়া হয়। মহড়ায় ওয়াটার টেন্ডার, পাম্প ক্যারিং টেন্ডার, সিজার লিফট, অ্যাম্বুলেন্স, স্নোরকেল গাড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেট্রোরেলে বা মেট্রোরেল স্টেশনে হঠাৎ অগ্নিদুর্ঘটনা হলে কীভাবে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে, অগ্নিনির্বাপণ করতে হবে, সাধারণ লোককে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হবে—এসব বিষয়ে বাস্তব অনুশীলন দেখানো হয়। মহড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি মেট্রোরেলের নিরাপত্তাকর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকেরা অংশ নেন। মহড়া চলাকালীন মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ অন্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মহড়া দুটি পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান শিকদার ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার এ কে এম রায়হানুল আশরাফ। এ সময় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন প্রধানেরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।