সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের এক শিক্ষার্থী মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে (স্ট্রোক) মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এছাক মিয়া।

মৃত শিক্ষার্থীর নাম আল আমিন। তিনি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন নয়াবাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এছাক মিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরেই আল আমিন হতাশায় ভুগছিলেন। পরে আজ হঠাৎ করে অসুস্থতা বোধ করেন। একপর্যায়ে পরিবার ও সহপাঠীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুর বিষয়টি ধরা পড়ে বলে জানান চিকিৎসক।

তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ইফতে খাইরুল আমিন বলেন, আল আমিন মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি এলাকায় থাকতেন। তাঁর মা-বাবা বলেছেন, আল আমিন স্ট্রোক করেছেন। তাঁর লাশ পরিবারের তত্ত্বাবধানে গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল আম ন

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ বছরের সম্পর্কে প্রথমবার চীন সফরে যাচ্ছেন থাই রাজা

থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ইউহুয়া আগামী বুধবার (১৯ নভেম্বর) চীন সফরে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর কোনো থাই রাজার এটিই প্রথম চীন সফর হতে যাচ্ছে।

উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে এই সফর এসেছে। চীন কয়েক বছর ধরে এই সফরের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তির জন্য মালয়েশিয়া সফরে ট্রাম্প

থাইল্যান্ড এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমাগতভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

অন্যদিকে থাইল্যান্ডের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন সমালোচনা ও বাণিজ্য শুস্ক আরোপের ঘটনায় দেশটির অনেকেই বিভ্রান্ত। তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার এশিয়ান মিত্রদের কাছে আগের মতো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।

থাই সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সফর ‘সব স্তরে থাইল্যান্ড ও চীনের মধ্যে ভাগ করা গভীর-মূল বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে’।

রাজধানী বেইজিং ভ্রমণের সময় থাই রাজা ও তার স্ত্রী রানী সুথিদা লিংগুয়াং বৌদ্ধ মন্দির এবং বেইজিং এরোস্পেস সিটির মতো স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তার স্ত্রী থাই রাজপরিবারের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় ভোজও আয়োজন করবেন।

চীন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বী।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের গুরুত্ব চলতি বছরের শুরুতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, যখন থাই সরকার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সতর্কতা উপেক্ষা করে ৪০ জন উইঘুর আশ্রয়প্রার্থীকে চীনে ফেরত পাঠিয়েছিল।

তারপরে আগস্ট মাসে ব্যাংককের প্রধান শিল্পকলা কেন্দ্রে উইঘুর ও তিব্বতি শিল্পীদের সমন্বিত একটি প্রদর্শনী চীনা কূটনীতিকদের অভিযোগের পর সেন্সর করা হয়েছিল।

থাই রাজা ভাজিরালংকর্ন ৯ বছর আগে সিংহাসনে বসার পর এটি হতে যাচ্ছে তার প্রথম বড় রাষ্ট্রীয় সফর। এর আগে এপ্রিল মাসে তিনি ভুটানে প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ