মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন (সরকারি অচলাবস্থা) অবসানের জন্য একটি অর্থায়ন বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করার পথ খুলে দিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় সাগরে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

সাবমেরিন ইস্যুতে আটকে গেল দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তি

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) ২২২-২০৯ ভোটে অর্থায়ন বিলটি পাস হওয়ার মাত্র দুই ঘন্টা পরে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিলটি স্বাক্ষরের সময় ট্রাম্প বলেন, “আজ একটি দুর্দান্ত দিন। আজ আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছি যে, আমরা কখনই চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যের ফলে ওভাল অফিসে তার চারপাশে জড়ো হওয়া রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা করতালিতে ফেটে পড়েন।

এই বিলের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীরা কাজে ফিরবেন, ফেডারেল সংস্থা, কর্মসূচি ও বিভাগগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ পুনরায় চালু হবে এবং যারা ১ অক্টোবর থেকে বেতন পাচ্ছিলেন না- তেমন কয়েকশো হাজার কর্মী তাদের বকেয়া বেতন পেয়ে যাবেন।

এর আগে গত সোমবার রাতে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি ৬০-৪০ ভোটে অনুমোদন পায়। এতে রিপাবলিকানরা ছাড়াও ডেমোক্র্যাটদের আট সিনেটর পক্ষে ভোট দেন। পরে বিলটি বুধবার রাতে প্রতিনিধি পাস পরিষদেও হয়।

ট্রাম্পের স্বাক্ষরের ফলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ফেডারেল কর্মীরা তাদের কাজে ফিরে আসবেন। বিলে গত ১ অক্টোবর থেকে শাটডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাইয়ের ঘটনাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিলটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ফেডারেল তহবিল সচল রাখবে। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় কড়া নিরাপত্তা, চলছে তল্লাশি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে ও  বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে চলতি মানুষদের তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সড়কে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকার সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। তবে সকাল থেকে সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার দাপট থাকলেও সীমিত পরিসরে চলছে গণপরিবহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও উপস্থিতির হার কিছুটা কম। 

ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সাঁজোয়া যানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া, যেকোনো অপতৎপরতা মোকাবিলায় সড়কে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির নেতা–কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। 

সকাল থেকে রামপুরা, খিলগাঁও, মৌচাক, মালিবাগ, কাকরাইল ও পল্টন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করার কথা রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশ এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি শুরু হওয়ার অন্তত তিন দিন আগে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে ঢাকা ও এর আশেপাশে বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এসব নাশকতা ঠেকাতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তবে এ অবস্থায় অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হওয়া এড়িয়ে চলছেন। তবে মোটরসাইকেল, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকাসহ সারা দেশে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২০টি চোরাগোপ্তা হামলার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি ব্যাংক, ১০ বাস, এক ট্রেন ও এক অটোরিকশায় আগুন, পাঁচ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুই স্থানে পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরা এলাকার বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের প্রধান কার্যালযয়ের সামনে দায়িত্বর রামপুরা ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) এ কে এম নছরুত হাসান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘সকাল থেকে কোনা ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সড়কে যানচলাচল একটু কম রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ দিনের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক জানান, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠবো।’

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ