শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ২৬ পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ১৬ নভেম্বর
Published: 13th, November 2025 GMT
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ২৬টি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ১৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে।
পদের নাম ও বিবরণ১. কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ, বাংলায় ২৫ শব্দের গতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক পদে দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ৪১৬৬১৮ ঘণ্টা আগে২.
সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৮
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি; কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত; সাঁটলিপি পরীক্ষার গতি ইংরেজিতে সর্বনিম্ন প্রতি মিনিটে ৭০ শব্দ, বাংলায় সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ৪৫ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ, বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ শব্দ এবং কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল ও ফ্যাক্স পরিচালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)।
৩. ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি; কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)।
আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ২১৮৫ ঘণ্টা আগে৪. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৩
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ টাইপের গতি থাকতে হবে এবং কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল ও ফ্যাক্স পরিচালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)।
৫. অফিস সহায়ক (গ্রেড-২০)
পদসংখ্যা: ১৩
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।
বয়সসীমা১ নভেম্বরে আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১৮–৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদনের নিয়মপরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা এই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করবেন। আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি প্রদান করতে হবে।
আবেদন ফি১ থেকে ৪ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা;
৫ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি বাবদ ৫০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।
* সব গ্রেডের অনগ্রসর (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীরা পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।
আরও পড়ুন১০ম গ্রেডে পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক, অর্থ বিভাগের সম্মতি১১ নভেম্বর ২০২৫আবেদনের সময়সীমাআবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা;
আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।
নির্দেশনা১. চাকরিরত প্রার্থীদের সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন ফরম পূরণের সময় ‘ডিপার্টমেন্টাল ক্যান্ডিডেট’–এর ঘরে টিকচিহ্ন দিতে হবে। অন্যদের ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।
২. সব শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা একই তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আবেদনকারীকে একাধিক পদে আবেদন না করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
৩. লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো ধরনের ভাতা প্রদান করা হবে না।
বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে।
আরও পড়ুনট্রাফিক সহায়কের খণ্ডকালীন চাকরি, শিক্ষার্থীদের সুবিধার থেকে শঙ্কা বেশি ১১ নভেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবহন খাতে ঋণ বিতরণ কমে গেছে
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, নির্মাণ ও পরিবহনসহ প্রায় সব উৎপাদনমুখী খাতে ব্যাংকঋণ বিতরণ কমে গেছে। ফলে অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে স্থবিরতা নেমে এসেছে। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগের মতো এখন চাইলেই ঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি ধীর হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি মানুষের চাহিদাও কমেছে। ফলে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিবর্তে উল্টো কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ঋণ বিতরণ কমছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের ঋণে বছরে ১০ শতাংশের বেশি সুদ যুক্ত হচ্ছে।
ঋণ কমেছে যেসব খাতেবিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা একদিকে নতুন ঋণ নিচ্ছেন না, অন্যদিকে তাঁদের ওপর পুরোনো ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে নির্মাণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে টানা তিন প্রান্তিক ঋণ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত অধিকাংশ খাতে ঋণের স্থিতি কমেছে। অর্থাৎ এসব খাতে যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। ফলে ঋণের স্থিতি বাড়েনি। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মেয়াদি ঋণ বৃদ্ধি পেলেও পরের প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে হ্রাস পেয়েছে। মার্চে মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যা জুনে কমে হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মানে এখন নতুন প্রকল্প নেই বললেই চলে। মেয়াদি ঋণ মূলত নতুন প্রকল্প করার ক্ষেত্রে নেওয়া হয়।
***নির্মাণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে টানা তিন প্রান্তিক ধরে ঋণ কমে আসছে। ***পরিবহন খাতেও নতুন বিনিয়োগ নেই, বরং ঋণ কমেছে।নির্মাণ খাতের ঋণ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই খাতে ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, যা কমে মার্চে ১ লাখ ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় ও জুনে ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামে। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই নির্মাণ কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। এর প্রভাবে রড-সিমেন্টের দাম ও বিক্রি দুটোই কমেছে। পরিবহন খাতেও নতুন বিনিয়োগ নেই। উল্টো গত মার্চ থেকে জুনে ঋণ কমেছে ১০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের চিত্রও একই রকম। এই খাতে ডিসেম্বরে ঋণ ছিল ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, যা মার্চে বেড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা হলেও গত জুনে কমে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নেমে যায়।
কেন ঋণ কমছেএদিকে ঋণ বিতরণ যেমন কমছে, তেমনি খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণযোগ্য তহবিল কমে আসছে। দেশে গত জুন মাসের শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। দেশে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি।
জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক আবুল কাসেম খান বলেন, ‘অর্থনীতির গতি বেশ আগেই কমে গেছে। সে জায়গা থেকে বের হতে পারেনি। শুধু রপ্তানি খাত আগের ধারা ধরে রেখেছে। মূল্যস্ফীতিও প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি। এ জন্য মানুষের চাহিদা কমে এসেছে। কখন নির্বাচন হবে তার জন্যও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ী উভয় পক্ষ এখন অপেক্ষা করছেন। এ ছাড়া আগের মতো ভুয়া ঋণ বিতরণ হচ্ছে না। এটিও ঋণ কমে যাওয়ার একটি কারণ।’
আবুল কাসেম খান আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই খরচ বাড়ুক। সেটা সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে। তাতে কর্মসংস্থান হবে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। তবে সেটা এখন হচ্ছে না। অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার এলেই বিনিয়োগ শুরু হবে।’
একাধিক ব্যাংকের ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন কমে গেছে। এর ফলে রড-সিমেন্টের বিক্রি কমেছে। সরকারি-বেসরকারি প্রায় ২৫টি ব্যাংক ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন কোনো ঋণ যাচ্ছে না। নির্বাচন হয়ে গেলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে, বিষয়টা এত সহজ না। কারণ, ঋণ যারা দেবে তাদের কাছে ঋণযোগ্য তহবিল কম।